ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৩.০৬ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৩.০৬ শতাংশ সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: লক্ষ্যমাত্রা ক্রস করে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে ৪৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এ বছর মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ সালে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় এবার রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ০৬। একইসঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য দেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছিলাম। এ লক্ষ্যমাত্রা দিনদিন আরও বাড়ানো হবে। অন্যান্য আইটেমের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু আইটেম যেমন- লেদার খারাপ হয়েছ। তবে বাড়নোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাল রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রায় ২ লাখ টন।

‘এছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যকে সহজীকরণ ও রপ্তানিকারকদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি ব্যবসায়ী সমাজ এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রপ্তানির প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। ’

নিত্যপণ্য বাজারের ঊর্ধ্বগতি এমনকি পেঁয়াজের মূল্য বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কয়েকদিন ধরে আমরা কথা বলছি। যে দু’টি পয়েন্টে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসে, সেসবে প্রতিদিন যেভাবে আসতো, তার থেকে কম আসছে। আরেকটি খবর নিতে বলেছি- ভারত যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিতো পেঁয়াজ রপ্তানিতে, সেটা না-কি তারা বন্ধ করেছে। এছাড়া দুষ্ট ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগ খোঁজে।

প্রয়োজনে খোলা বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকাল টিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। বাজার মনিটরিং করবো। যদি প্রয়োজন হয় টিবিসির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করবো। তবে আমরা দেখতে চাচ্ছি, দামটা কমে আসে কি-না। আমরা আশাবাদী কমে আসবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। পেঁয়াজ, আদা ও মসলার দাম বৃদ্ধির টেনডেন্সি লক্ষ্য করছি। এছাড়া বৃষ্টির জন্যও কিছু প্রভাব পড়েছে। তারপরও আমরা খুব আশাবাদী দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। যা বিগত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
জিসিজি/টিএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।