ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

পোশাকখাতের নিরাপত্তা ও সংস্কার প্রকল্প চালু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
পোশাকখাতের নিরাপত্তা ও সংস্কার প্রকল্প চালু

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধান রাপ্তানি পণ্য পোশাকশিল্পকে আরও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্নিনির্বাপক, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপত্তা জোরদারে ঋণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে আর্ন্তজাতিক তিনটি প্রতিষ্ঠান।

ফ্রান্সের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ঋণ সহায়তা দেবে ৫০ মিলিয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জার্মান উন্নয়ন ব্যাংক (কেএফডব্লিউ), জার্মান সহযোগী প্রতিষ্ঠান (জিআইজেড) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুদান দেবে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ইউরো।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পের সব বিনিয়োগকারী ও স্টক হোল্ডারদের প্রকল্প বিষয়ে অবগত করার উদ্দেশে রাজধানীর দি আমারি হোটেলে ‘প্রোগ্রাম টু সাপোর্ট সেফটি রেট্রোফিটিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল আপগ্রেডস ইন দ্য বাংলাদেশি রেডিমেইড গার্মেন্ট সেক্টর প্রজেক্ট (এসআরইইউপি)’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান।

জিআইসিআই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মধ্যে এএফডির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানিয়েল ভাইন, কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফাতেমা রোজালিন খান, ইইউর ফুড অ্যান্ড নিউট্রেশন সিকিউরিটি টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’র ম্যানফ্রেড ফার্ন হৌলস, জিআইজেড কো-অর্ডিনেটর অফ টেক্সটাইল ক্লাস্টার টিম লিডার-ভিয়েনা ল্যাংগে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুর্শেদা জামান প্রমুখ।

এ প্রকল্পের সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা প্রকল্পটির আওতায় নির্বাচিত ও আবেদনকৃত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ থেকে প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডসমূহের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- এই খাতকে আরও নিরাপদ তথা অগ্নি, বিদ্যুৎ ও কাঠামোগত সংস্কার সাধন, সবুজতর অর্থাৎ ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার), কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও পানিসম্পদের ব্যবহার হ্রাস করা এবং কর্মপরিবেশকে আরও স্বস্তিদায়ক এয়ার কন্ডিশনিং, ক্যান্টিন ও শৌচাগার নির্মাণ, বাচ্চাদের ডে-কেয়ার নির্মাণসহ ইত্যাদির জন্য আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া।

এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হচ্ছে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত। প্রত্যেক ঋণ গ্রহীতা সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের ঋণ নিতে পারবেন। ঋণের যথাযথ ব্যবহারকরণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ঋণপ্রস্তাব অনুযায়ী যথাযথভাবে কার্যসম্পাদন সাপেক্ষে ঋণ গ্রহণকারী তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে।  

আমেরিকার ক্রেতাদের জোট  অ্যালায়েন্স, ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনা (এনটিপিএ)- এ তিন সংস্থার পরামর্শ অনুসরণের জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহজতর ঋণ দেওয়ার উদ্দেশে প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এসই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।