বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘স্টাডি অন সাপ্লাই চেন রেজিলেন্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রুবানা হক বলেন, উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সংগঠন (অ্যালায়েন্স) ও ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের সংগঠন (অ্যাকোর্ড) বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ সময়েও আমরা বিল্ডিং কোড নীতিমালা ২০১৯ অনুমোদন করাতে পারিনি। এই সুযোগে বিদেশিরা এসে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে। যেটা বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসের পর দেড় বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছি, শুধু অগ্নিনির্বাপণের সরঞ্জাম কেনার কাজে। কিন্তু এটা আমাদের পরিবেশের সঙ্গে যাচ্ছে কি-না কেউ কথা বললো না।
বিজিএমই সভাপতি রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে গত পাঁচ মাসে ছয় ভাগের বেশি নেগেটিভ গ্রোথ হয়েছে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, পোশাক খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এসব কাজে সরকারকে দোষ দেওয়া সহজ। কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি এটাও দেখতে হবে। প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শুধু গার্মেন্ট শিল্পকে প্রাধান্য দিলে হবে না। অন্যান্য শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব শিল্পকে সমানভাবে গুরুত্ব দিলেই পোশাক খাত এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ বিলিয়ন ডলারের যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এটা একেবারেই বাস্তব সম্মত নয়। রপ্তানি বাড়ানোর চেয়ে ভ্যালু এডিশন বাড়াতে হবে। আমরা কম মূল্যে রপ্তানি করলে এখনই ৫০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে পারব। এতে দেশের কোনো লাভ নেই। কারণ মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের, কিন্তু জিডিপিতে অবদান মাত্র ১১ শতাংশ।
রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন একটা সঠিক গবেষণা। কীভাবে তৈরি পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন বাড়ানো যায় এ বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। বিশ্বমন্দা ও আমাদের মুদ্রা বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে রপ্তানি কমছে। আমাদের এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খলিলুর রহমান খান প্রমখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএস/টিএ