তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ভারতের নাসিকে পেঁয়াজের দাম ৩৬ থেকে ৩৭ রুপিতে নেমে এসেছে। এবার তাদের প্রয়োজনেই তারা পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচই ডাভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পেঁয়াজের দাম এবার অনেক বেড়েছে। হয়তো পরো পেঁয়াজ উঠলে সেটা কমে যাবে। কিন্তু দামটা এতটা কমা ঠিক হবে না, যাতে করে কৃষক দাম পায়। ভোক্তার বিষয়টা যেমন নজরে রাখতে হবে, তেমনি কৃষকদের বিষয়টাও দেখতে হবে। ফাইনালি আমরা যদি পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হতে পারি, তাহলে আমাদের সমস্যা থেকেই যাবে। আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি আট থেকে নয় লাখ টন। বছরের পর বছর যদি পরের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাহলে যখনই ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেবে, তখনই সমস্যা দেখা দেবে। তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে কৃষকদের দাম পেতে হবে। দাম না পেলে তারা পেঁয়াজ উৎপাদন করবেন না।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তারপরও দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ ফুল স্পিডে এখনও আসেনি। আমি গত ২৪ তারিখে পেঁয়াজ অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বোঝা গেছে আগামী মাসের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে ফুল স্পিডে পেঁয়াজ ওঠা শুরু করবে। সে সময়টায় পেঁয়াজের দাম কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
জিসিজি/টিএ