ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় বিজিএমইএ'র কৃতজ্ঞতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় বিজিএমইএ'র কৃতজ্ঞতা

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। 

বুধবার (২৫ মার্চ) দিনগত রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

এর আগে এদিন সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ) উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ প্যাকেজ ঘোষণা দেন সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



আরও পড়ুন>>শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের তৈরি পোশাকখাতে একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮৯টি কারখানায় মোট এক দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। এটা পোশাক খাতের জন্য উদ্বেগের। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা এই ক্রান্তিলগ্নে পোশাকখাতের চলার পাথেয় হবে। আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, অসহায় সময়ে ভালো খবর উপহারের জন্য। এই প্রণোদনা শ্রমিকের জীবন বাঁচাবে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।  

উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্যে আসন্ন আঘাত ঠেকাতে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস জনস্বাস্থ্যসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির ওর নেতিবাচক থাবা বসাতে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিচ্ছেন। আমাদের ওপরও এই আঘাত আসতে পারে। ’

অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ব্যবসাবান্ধব বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোন গ্রাহককে ঋণ খেলাপি না করার ঘোষণা দিয়েছে। ‘রপ্তানি আয় আদায়ের সময়সীমা দুই মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিং-এ আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
ইএআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।