একইসঙ্গে কারখানায় শ্রমিকের প্রবেশের আগে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা। দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও পোশাক।
এছাড়া সেফটি প্রটোকল মেনে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে চালু হচ্ছে আশুলিয়া আর মানিকগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো। এক্ষেত্রেও এখন যারা (শ্রমিক) গ্রামে অবস্থান করছেন, তাদের আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পরিবহন চললে তারা কাজে যোগদান করবেন। এছাড়া তাদের বেতন বিকাশের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলা হচ্ছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) গার্মেন্টস খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, যেসব কারখানায় রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়নি, যাদের কাজ আছে, সেগুলো কয়েকটি ধাপে চালু করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে রোববার ঢাকার আটটি কারখানা খোলা হয়েছে। এছাড়া একইদিন বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ১০ থেকে ১২টি কারখানা চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খোলা হবে আশুলিয়া আর মানিকগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো। এছাড়া আগামী রোববার (৩০ এপ্রিল) থেকে চালু হবে নারায়ণগঞ্জসহ কাচপুর, রূপগঞ্জ এলাকার কারখানাগুলো। পাশাপাশি আগামী ২, ৩, ৪ মে টঙ্গী এবং ময়মনসিংহ এলাকার কারখানাগুলও চালু হবে।
তবে কারখানা শ্রমিক যদি ঢাকার বাইরে থাকেন, তাহলে তাদের আপাতত ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে তারা কাজে যোগদান করবেন। এক্ষেত্রে মানবিক দিক বিনেচনায় কোনো শ্রমিকের চাকরি চলে যাবে না। বরং তারা নির্দিষ্ট সময়ে বিকাশেরর (মোবাইল ব্যাংকিং) মাধ্যমে নিজেদের বেতন পেয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। আমাদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এখন আমরা কয়েকটি ধাপে কারখানা চালু করবে। শুরুতে রোববার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় চালু হয়েছে। ঢাকা কমলাপুর, শাহজাহানপুর, বাড্ডা ইত্যাদি এলাকার ছোট কারখানাগুলো চালু হয়েছে। পরে আশুলিয়া-মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-কাঁচপুর, টঙ্গী-ময়মনসিংহ এলাকায় চালু হবে।
তিনি বলেন, কোনো শ্রমিক এ মুহূর্তে গ্রামে অবস্থান করলে, তিনি সেখানেই থাকবেন এখন। বেতন বিকাশের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। পরে এসে কাজে জয়েন করবেন। চাকরি যাবে না। আমরা কারখানা চালু করব যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
ইএআর/টিএ