মঙ্গলবার (৫ মে) রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচুর সংকটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার গোল্ড স্টার টেইলার্সের সত্বাধিকারী নুর কামাল খাঁ বাংলানিউজকে বলেন, কর্মচারী, দোকান ভাড়া ও বাসা ভাড়া জমে গেছে। এই মুহূর্তে সরকারের দোকান খোলার ঘোষণা ইতিবাচক। ঈদের বাকি যে কয়েকটি দিন আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরা কিছুটা হলেও আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পাবো। শুধু তাই নয়, আমাদের দর্জি সেক্টরে প্রোডাকশন শ্রমিকরা কাজ করে দুটো টাকা আয় করে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। আমরা সেটি মেনে চলার চেষ্টা করবো। এজন্য আজ দোকানটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলাম। একই সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছি। নিজে সুস্থ থাকবো অন্যকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করবো।
আর্থিক সংকটের মধ্যে আমাদের দিন কাটছে। জমানো কিছু টাকা ছিল সেটিও শেষ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সরকারের দোকান খোলার ঘোষণা কিছুটা হলেও আমাদের দেনা থেকে মুক্ত করবে বলে জানালেন শেওড়া পাড়ার গিফট কর্নারের মালিক কবির হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দোকান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ধুলোর স্তূর জমে গেছে। তাই দোকান পরিষ্কার করছি। আগামী ১০ তারিখ থেকে দোকান চালু করবো।
এদিকে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে আইজিপি ও বাণিজ্য সচিব আমাকে জানিয়েছেন। সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আগামী ১০ মে থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখবো আমরা।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিংমল খোলা রাখা হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের দোকান খোলার প্রয়োজন নেই।
অপরদিকে গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকানপাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এরআগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় একঘণ্টা কমানো হয়েছে।
সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এসএমএকে/এএ