ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্ল্যাকপ্যাডের বদলে ‘প্লেবুক’ কমপিউটার!

মনোয়ারুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১০
ব্ল্যাকপ্যাডের বদলে ‘প্লেবুক’ কমপিউটার!

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা রিসার্চ ইন মোশন (রিম) তাদের প্রথম ট্যাবলেট কমপিউটার প্রদর্শন করেছে। এতোদিন পণ্যটির নাম ‘ব্ল্যাকপ্যাড’ হবে বলে বাজারে প্রচলিত ছিল।

তবে সান ফ্রান্সিসকোতে রিমের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক লেজারিডিস এ কমপিউটারের নাম ‘প্লেবুক’ বলে উল্লেখ করেন।

মাইক জানান, প্লেবুক হচ্ছে বিশ্বের প্রথম প্রোফেশনাল ট্যাবলেট কমপিউটার। আর প্লেবুকের কারিগরি বৈশিষ্ট্যও তা প্রমাণ করে। তবে অবয়বের দিক থেকে প্লেবুক অনেকটা অ্যাপল আইপ্যাডের মতোই। কারণ প্লেবুকের স্পর্শক পর্দাটির দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি। যেখানে আইপ্যাডের স্পর্শক পর্দার দৈর্ঘ্য ৯.৭ ইঞ্চি। তবে উভয় পণ্যের ওজন প্রায় সমান।

ব্ল্যাকবেরির ট্যাবলেট কমপিউটারে অ্যাডবি ফ্যাশ ভিডিও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হবে। এ মুহূর্তে সফটওয়্যারটি যে কোনো অ্যাপল পণ্যেয় ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্ল্যাকবেরি ৬ সংস্করণ ব্যবহার করা হবে না বলে জানা গেছে। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কিউএনএক্স সফটওয়্যার সিস্টেম নির্মিত নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এসব সুবিধার সঙ্গে আরও আছে ভিডিও কনফারেন্সিং এবং মাল্টিটাস্কিং সুবিধা।

প্লেবুকে নেটওয়ার্ক সেবায় আছে ব্লুটুথ এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ। কিন্তু সেলুলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোনের সাহায্য নিতে হবে। তবে ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ব্লুটুথের সাহায্য প্লেবুকের ইমেলই, ক্যালেন্ডার, ডকুমেন্টসহ অন্য সব ফিচার উপভোগ করতে পারবেন।

রিম সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ সালের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে প্লেবুক উন্মেচিত হবে। আর অন্য সব দেশে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে প্লেবুক বিপণন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।