রাজশাহী: ‘সাবধানে অনলাইনে’ এই বার্তা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও তার নিরাপত্তা রক্ষা বিষয়ে সেমিনার হয়ে গেল রাজশাহীতে। সোসাইটি ইউথদের নিয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সেমিনারে কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তা শেয়ারের আগে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, পাবলিক কানেক্টিভিটি এবং রিঅ্যাকশনের ব্যাপারে আগেই অনুমান ও একাধিকবার বিচার-বিশ্লেষণের আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে রাজশাহীর হোটেল রিয়ারভিউ-এর কনফারেন্স রুমে শনিবার (১০ মার্চ) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পইনের সমাপনী দিনে আজ তিনজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে ছোট্ট ওয়ার্কশপ ও এই বিষয়ে প্যানেল আলোচকদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- দেশের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬টি জেলার কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রথম কিস্তির সমাপ্তি হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
যেখানে যুব সমাজের পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, সাংবাদিক, সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং জাগো ফাউন্ডেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, 'ইন্টারনেট' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বর্তমানে সব শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম। ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাই অসচেতন ও অসতর্ক ভূমিকা পালন করেন। যা তাদের নিজের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য হুমকি ডেকে আনার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহারকারীর বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আচরণের কারণেও অনেকেই অনিরাপদ অবস্থার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার যাত্রায় সামিল হওয়ার জন্য যুবসমাজের মধ্যে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার এখনই সময়। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয় এই বিভাগীয় সেমিনারটি।
প্রকল্পের অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নির্ধারিত তোলার পাশাপাশি সারাদেশ থেকে #ShabdhaneOnline ব্যবহার করে ইতিবাচক
কন্টেন্ট তৈরি করে নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার আহ্বান জানানো হয় জাগো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
আর টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশনের এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে আকর্ষণীয় মোবাইল ফোন উপহার জিতে নিয়েছেন রাজশাহী রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ৬ আশগ্রহণকারী। এছাড়া সারাদেশ থেকে মোট ৩ জন ইউজিসি কন্টেন্ট নির্মাতা পেয়েছেন একই পুরস্কার।
সেমিনারে উপস্থিত থাকা জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী পরিচালক, এশা ফারুক বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচাইতে তরুণ সমাজ। তাই এর যথোপযুক্ত ব্যবহারের ব্যাপারে তাদের সচেতন করাটাই সবার আগে প্রয়োজন। যাতে তারা নিজেরাই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি তাদের আশেপাশের মানুষকেও সচেতন করতে পারে। তাই ছোট পরিসরে ক্যাম্পেইনটি শুরু করলেও আগামীতে আরও বড় পরিসরে ইন্টারনেট জগতের সঠিক ব্যবহার নিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাও করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং প্যানেল বক্তা ছিলেন- রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসের বিদ্যালয় পরিদর্শক এবিএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনলাইনে নিরাপদ থাকাটা যেমন জরুরি তেমনি অন্যের জন্যও নিরাপদ একটি অনলাইন পরিবেশ তৈরি করার মনোভাব থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন এই আলোচক।
অপর প্যানেল বক্তা ছিলেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের পরিচিত ইনফ্লুয়েন্সার সাকিব বিন রশীদ। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুসমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে, যদি তারা এই ব্যাপারে সচেতন থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এসএস/এসএ