ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক: মোস্তাফা জব্বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক: মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগোযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগোযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত মনোযোগী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি)– ৬ প্রযুক্তি অপরিহার্য।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার একটি হোটেলে আইএসপিএবি আয়োজিত নেটওয়ার্ক অ্যান্ড অ্যাডভান্সড বিজিএফ রাউটিং বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইপিভি-৪ ভার্সনের রাউটার আমদানি রহিত করা হয়েছে। আইপিভি-৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন আইএসপিএবিকে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

ডিজিটাল সংযোগ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট এখন শহরের গণ্ডি অতিক্রম করে দুর্গম অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান চাহিদা। মানুষের এই চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল ফোনের ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে, এই অজুহাতে ১৯৯২ সালে বিনা টাকায় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ নেওয়া থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে তৎকালীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের পর ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটের অভিযাত্রা শুরু হয়।

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে দেশে ভয়েস কল ক্রমেই কমে আসছে এবং ডেটা কল বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন এক সময় আসবে ভয়েস কল বিলীন হয়ে যাবে।

তিনি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের উদ্দেশ্যে বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম প্রধান শক্তি আপনারা। সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও এর কারিগরি বিষয়সমূহ নিয়ে গ্রাহকদের সচেনতার দায়িত্ব রয়েছে আপনাদের। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরও খাপ খাইয়ে চলতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।  

মন্ত্রী এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এহসানুল কবির, অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত এপনিক প্রশিক্ষক ডেভিড মিচেল পালান এবং আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।

বিটিআরসির মহাপরিচালক বলেন, দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বছরে ৩৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার হবে ছয় হাজার জিবিপিএস। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রয়োজন হবে সাড়ে আট হাজার এবং ৩০ সালের মধ্যে হবে ১৯ হাজার জিবিপিএস।

সভাপতির বক্তব্যে ইমদাদুল হক মোবাইল অপারেটরদের মতো আইএসপিএদের জন্য অ্যাক্টিভ শেয়ারিং সুযোগ এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স আপডেটে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।