ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ওকলার রিপোর্ট বিশ্বাস করেন না মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ওকলার রিপোর্ট বিশ্বাস করেন না মন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার চেয়েও ৪১ ধাপ নিচে বলে ইন্টারনেটের গতি মাপার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওকলা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা বিশ্বাস করেন না ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতি উগান্ডার চেয়েও ৪১ ধাপ পিছিয়ে—এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি ওকলার ওই রিপোর্ট বিশ্বাস করি না। কারণ ওকলা আমাদের সরকারি কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আপনি ব্যক্তিগত একটি প্রতিবেদন দিয়ে দিলেন, সেটা আমি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মেনে নেব, তা হবে না। ওকলা কোনো স্ট্যান্ডার্ড না। এখানে এমন কোনো তথ্য দেয়নি যে, আমি এইভাবে ডেটা নিয়েছি। তারা কোথা থেকে তথ্য নিয়েছে। যদি গতির কথা বলতে চায়, তাহলে গতি মাপবে বিটিআরসি। বিটিআরসির সঙ্গে তারা কথা বলেনি।

তিনি বলেন, আপনি গিয়ে মাপেন, মেপে মানদণ্ড নির্ধারণ করেন। বিটিআরসির কাউকে নিয়ে যাবেন, কারণ টেলিকম খাতের কোনো অভিভাবকের কথা চিন্তা করতে হয়, সেটা বিটিআরসি।

তাহলে প্রতিবাদ দেন না কেন, প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কী কারণে, ওকলা কী? এমন কী যার জন্য আমাকে প্রতিবাদ দিতে হবে।

মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি মনে করি, গোয়ালা কখনো নিজের দই সম্পর্কে খারাপ কিছু বলবে না। আমি বলবো, ২০১৮ সালের আগের টেলিযোগাযোগ খাতের সঙ্গে ২০২৩ সালের অবস্থান নিজেরা অনুসন্ধান করে বের করলে পরিবর্তনটা দেখতে পাবেন। আমি একবাক্যে বলব, ২০১৮ সালের যেসব কাজ বা অগ্রগতিগুলো হয়নি, সেগুলো পূরণ করার জন্য আমি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি। যে কারণে আমরা অনেক উন্নতি করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ ভাগ ফোরজি নেটওয়ার্ক আছে এখন। এটি প্রায় দুঃসাধ্য একটি কাজ ছিল। যেখানে থ্রিজি নেটওয়ার্কই প্রসারিত হতে পারেনি। ২০২৩ সালের মধ্যে সারা দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক দিতে পেরেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আমি যে অভিযোগ সব সময় পাই তার একটি হচ্ছে, চারটি টেলিকম অপারেটরের ভেতরে তিনটি সম্পর্কে তাদের অভিযোগ হচ্ছে—কল ড্রপ হয়, নেটওয়ার্ক পাই না। চতুর্থ অপারেটর টেলিটকে সর্বসাকুল্যে বিনিয়োগ ছিল তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। টেলিকম খাত এমন যে, নেটওয়ার্ক না থাকলে নাম দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা কঠিন কাজ ছিল। এখন টেলিটকে বিনিয়োগ বেড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

রাষ্ট্রায়ত্ত এই অপারেটর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, টেলিটক দুর্যোগ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও নেটওয়ার্ক দিতে পেরেছে। আরেকটি বড়ো কাজ হচ্ছে, একটি ডমিস্টিক রোমিংয়ের কাজ শুরু করেছে। সেটি বাংলালিংকের সঙ্গে এখন পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। এরমধ্য দিয়ে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক পুরোটাই ব্যবহার করতে পারবে টেলিটক। আবার টেলিটকের নেটওয়ার্ক বাংলালিংক ব্যবহার করতে পারবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ইন্টারনেটের দামের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন, আমরা একদেশ এক রেট করেছি। জনগণের প্রতি সুবিচার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করার, সেটা আমরা করেছি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সবচেয়ে বড় কাজ হয়েছে এমএনপি সেবা। যেটা দিয়ে আপনি নম্বর পরিবর্তন না করেই এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে যেতে পারেন।

নির্বাচন করবেন কি না বা মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে রাস্তা থেকে ধরে এনে এখানে বসিয়েছেন। তিনি যদি বলেন ওখান থেকে নির্বাচন করতে হবে, করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।