ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টারভিত্তিক ‘প্রবাসী হেল্পডেস্ক’ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ‘আমি প্রবাসী অ্যাপ’।
সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ৩০০ উদ্যোক্তাদের ‘আমি প্রবাসী’ প্ল্যাটফর্মে প্রাপ্ত সরকারি ও ব্র্যাক পরিষেবা বিষয়ে সম্প্রতি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মামুনুর রশিদ ভূঞা, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্টেকহোল্ডাররা।
সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা হিসেবে মো. আরিফ হোসেন (বারোপাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা) এবং প্রবাসী হেল্পডেস্কের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনজন উদ্যোক্তা পায়েল দেব, আরাফাত হোসেন নবীন ও আলমগীর হোসেনকে বেস্ট পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
তিন শতাধিক ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ইতোমধ্যেই পরিচিত হয়েছেন প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন অনলাইন সেবার সঙ্গে। বিএমইটি ডাটাবেজ রেজিস্ট্রেশন, প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) এনরোলমেন্ট, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সসহ সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে ডিজিটাল সেন্টারে।
বর্তমানে এটুআই থেকে ৬৪টি জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত ৩৭৩টি উপজেলায় মোট ১০০০টি প্রবাসী হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতিমাসে প্রবাসীদের ৮০ হাজারের অধিক সেবা দেওয়া ও প্রতিমাসে ৪০ কোটি টাকার অধিক রেমিট্যান্স উত্তোলন করা হয়ে থাকে।
প্রবাস গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাস যাত্রা সহজীকরণ এবং প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ একটি ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট থেকে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল সেন্টার’ কেন্দ্রিক প্রবাসী হেল্পডেস্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি