ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আগামী ৫ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
আগামী ৫ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে: পলক

ফেনী: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রত্যেকটি জায়গায় ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি ও দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।  আগামী ৫ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো হবে।

 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ফেনী পিটিআই স্কুল মাঠে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় তিন জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।  

জুনাইদ আহমেদ পলক, ইন্টারনেট দাম কমানোর পাশাপাশি ফোর-জি প্রতিশ্রুত স্পিড যাতে প্রত্যেকটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি নিশ্চিত করে এবং দেশজুড়ে বাড়িতে বাড়িতে সুলভ মূল্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া জন্য আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ। তারমধ্যে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব না। সবাই বিদেশও যেতে পারবে না। এজন্য আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে ঘরে বসে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করা যায়।

নারী ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দরকার নারীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। উপার্জন করে ঘরে ফিরলে মর্যাদা অনেক বেড়ে যায়। একসময় যৌতুক প্রথা একটি ব্যাধি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। সেটির সমাধান কেউ দিতে পারেনি। পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন প্রাইমারিতে ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষক। ১৯৯৬ সালে এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অভিভাবকরা সন্তানদের পড়ালেখা করানোর উৎসাহ পেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে একজন প্রাইমারি শিক্ষককে ঘরের বউ হিসেবে পেতে যৌতুক প্রথা দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বহু সিদ্ধান্ত নারী ক্ষমতায়ন ও নারীদের মর্যাদা দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত। যা ১৫ বছর আগে ছিল ৫৬ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এ সংখ্যা বৈপ্লবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে দেশে আইটি নির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিলো না। এখন আইটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ২০ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে।

ফেনীতে আইটি নির্ভর যুব শক্তি তৈরিতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা মেয়েদের, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছেলেদের ফিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জেলায় ১১৪টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে। এখানে আরও ১০০টি ল্যাব স্থাপন করা হবে।

বক্তব্যের শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ তুলে দেন অতিথিরা।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধান (প্রকল্প ও যোগাযোগ) প্রকৌশলী কাজী তারানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এসএইচডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।