ঢাকা: মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের অনুকূলে একীভূত (ইউনিফাইড) লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে লাইসেন্স নেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস।
এরআগে, গত ১১ মার্চ ফাইভজিসহ পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে অপর তিন অপারেটর- গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়। এই লাইসেন্সের মেয়াদ ১৫ বছর।
এর ফলে আগের টুজি, থ্রিজি, ফোরজি প্রযুক্তি এবং তরঙ্গ ফি এর জন্য আলাদা লাইসেন্স ও নির্দেশিকার পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন লাইসেন্সে ফাইভজির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অ্যাকসেস তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ব্যাকহল ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তাসহ পরিবর্তিত প্রযুক্তিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার জনাব মো. আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) মো. নূরুল হাফিজ, পরিচালক (লাইসেন্সিং) সাজেদা পারভীন, পরিচালক (রেডিও কমিউনিকেশন স্ট্যাডি অ্যান্ড রিসার্চ) ড. মো. সোহেল রানা, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো টুজি লাইসেন্স নামে বাণিজ্যিকভিত্তিতে সেলুলার মোবাইল সেবা সংক্রান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়, যা ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত নবায়ন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে চার মোবাইল অপারেটরকে ২০২৮ সাল মেয়াদ পর্যন্ত থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চার অপারেটরের অনুকূলে ফোরজি লাইসেন্স দেওয়া হয়। বর্তমানে উক্ত লাইসেন্সসমূহের আওতায় দেশে সেলুলার মোবাইল সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং অধিক নির্ভরযোগ্য ও নিম্নতর বিলম্বের নেটওয়ার্কে প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বহুমুখী সেবার বাণিজ্যিক বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশেও ফাইভজি প্রযুক্তির সেবা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ২.৩ গিগাহার্জ, ২.৬ গিগাহার্জ ও ৩.৫ গিগাহার্জ ব্যান্ড নির্বাচন করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে ২.৩ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে ৭০.০০ মেগাহার্জ এবং ২.৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে ১২০.০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ চারটি মোবাইল অপারেটরের অনুকূলে নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা বর্তমানে ফোরজি সেবা দেওয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআইএ