দৃষ্টিহীনদের পথ দেখানোর জন্য গাইড কুকুরের ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। আর এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট প্রজাতির কুকুরকে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে গাইড হিসেবে উপযোগী করতে পোড়াতে হতো নানা রকম কাঠখড়।
জলজ্যান্ত প্রাণীর বদলে চার পায়ের এক রোবট কুকুর তৈরি করা হয়েছে গবেষণাগারে। রবি দ্য রোবগাইড নামের এই রোবট পাবলিক প্লেসে অন্ধ ব্যক্তিদের পথ দেখাবে। রোবগাইডের নির্মাতা গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদলের বক্তব্য, নিশ্চিন্তে দৃষ্টিশক্তিহীন ও স্বল্পদৃষ্টির মানুষজনকে পথ দেখানোর উপযোগী রোবট কুকুরটি, যা সময়ের পাশাপাশি কমাবে খরচও। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সবচেয়ে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয় জাদুঘর, শপিং সেন্টার, হাসপাতাল ও উন্মুক্ত পরিবেশে, যেখানে মানুষের অত্যধিক জটলা থাকে।
এসব জায়গায় নিশ্চিন্তে চলাচল নিশ্চিত করবে রোবগাইড। আশপাশের পরিস্থিতি নির্ভুলভাবে বুঝতে মানচিত্র, সেন্সর, জিপিএস—সব কিছুর সমন্বয় আছে এটিতে। রোবগাইডটি খুব দ্রুত ডাটা বিশ্লেষণ করে রিয়াল টাইমে বিভিন্ন বাধা এড়িয়ে যেতে সক্ষম। ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টেকনোলজি ব্যবহারের কারণে ব্যবহারকারীর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেও দুইবার ভাববে না রবি দ্য রোবগাইড।
পুরো বিশ্বে দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ করছে। এই মানুষগুলোর সাহায্য ও সামাজিক নিয়মগুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন—দুটিরই চেষ্টা করছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলে মনে করেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস ওয়াট স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর মুহাম্মদ ইমরান। আগামী বছর প্রযুক্তিটির আরো উন্নত সংস্করণ বাজারে আসতে পারে। এরই মধ্যে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা রোবগাইড তৈরি করতে শীর্ষ পর্যায়ের কিছু দাতব্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন এবং ইমপ্যাক্ট অ্যাকসেলারেশন অ্যাকাউন্ট প্রগ্রামের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল (ইপিএসআরসি) থেকে পেয়েছেন বড় অঙ্কের তহবিল।