সরকারি আইসিটি কর্মকর্তারা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত থাকায় দেশের আইসিটি সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে না। আইসিটি অধিদপ্তর সৃষ্টির সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের মার্চ এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং অধীনস্থ দফতরে বিদ্যমান আইসিটি সংক্রান্ত পদসমূহের জনবলকে আইসিটি বিভাগের একক প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশনা দিলেও প্রায় এক যুগেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বুধবার বিকেলে সদ্য যোগ দেওয়া আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব আক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন সরকারি গেজেটেড আইসিটি কর্মকর্তাদের সংগঠন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের নেতারা।
ফোরামের সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সাক্ষাতে যুগ্মচিব মো. মনিরুজ্জামান, ট্রেজারার জিকরা আমীন, নির্বাহী সদস্য আজিমুল ইসলাম, শামসুদ্দিন আহমেদ এবং আইসিটি অধিদপ্তরের সিস্টেম ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে ফোরামের নেতৃবৃন্দ আইসিটি সেক্টরের সমস্যার পাশাপাশি সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন। ফোরামের নেতারা এসময়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকার পতনের পর সাথে গত ১৪ আগস্ট সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার আইসিটি ক্যাডারের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি লিখিত প্রস্তাব প্রেরণের পরামর্শ প্রদান করেছেন বলে সচিবকে জানান।
তারা সচিবকে বলেন, পরের দিন ১৫ আগস্ট আইসিটি ক্যাডার সৃজনের প্রস্তাবটি বিদায়ী আইসিটি সচিব স্বাক্ষর করলেও প্রস্তাবটি উপদেষ্টার স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে ফোরামের নেতৃবৃন্দ আইসিটি সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জবাবে সচিব তাদের মেধার মূল্যায়নে আইসিটি ক্যাডার সৃজনের বিষয়টি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে আইসিটি ক্যাডার সৃজন ও সরকারি আইসিটি সেক্টরে কর্মরত আইসিটি জনবলের জন্য কাজ করার ব্যাপারে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ১৯,২০২৪
এমএম