ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের কার্যক্রম শুরু কবে?

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের কার্যক্রম শুরু কবে?

ঢাকা: দেশের ইন্টারনেটের চাহিদা মেটাতে চলছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ। প্রকল্পের ভৌত কাজের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশ।

আগামী ২০২৫ সালের শেষদিকে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) সাবমেরিন ক্যাবল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

বিএসসিপিএলসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যৎ ব্যান্ডউইডথ চাহিদা বিবেচনায় এবং প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের আয়ুষ্কাল ২০৩০ সালে শেষ হবে। এজন্য এসএমডব্লিউ-৬ কনসোর্টিয়ামের আওতায় দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে এসএমডব্লিউ-৬ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশ। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে ক্যাপাসিটি ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।

কনসোর্টিয়ামের (বিভিন্ন দেশ যৌথভাবে) মাধ্যমে এসএমডব্লিউ-৬ বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক মির্জা কামাল আহম্মদ জানান, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল অপারেশন শুরু করলে ক্যাপাসিটি ২০ হাজার জিবিপিএসে উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

বিএসসিপিএলসি ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে দেশে সাবমেরিন ক্যাবলের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কে সংযুক্ত রেখেছে।  

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সঙ্গে এবং সহজ পদ্ধতিতে দেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের ক্যাপাসিটি ব্যাপক বৃদ্ধি, সারা দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের মূল্য কমাতে বিএসসিপিএলসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় আস্থার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (সংশোধনী) অডির্ডন্যান্স-২০০৮ এর বলে কক্সবাজারে ল্যান্ডিং স্টেশনসহ সি-মি-উই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) সাবমেরিন ক্যাবলকে বিলুপ্তকৃত বিটিটিবি থেকে আলাদা করে ‘বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি)’ নামক একটি নতুন কোম্পানি গঠন করা হয়।

২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে বিএসসিপিএলসি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। বিএসসিপিএলসির মোট অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বিএসসিপিএলসি একে একে সাফল্যের নানা দ্বার উন্মোচন করে আসছে যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রাথমিকভাবে শুধু প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইড্থ ক্যাপাসিটি নিয়ে বিএসসিপিএলসি যাত্রা শুরু করে।  

পরবর্তীতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বিএসসিপিএলসি এসএমডব্লিউ-৫ সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামে যোগদান করে এবং ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন শেষে বাণিজ্যিকভাবে সেবা প্রদান শুরু করে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিএসসিপিএলসির মোট সক্ষমতা প্রায় সাত হাজার ২২০ জিবিপিএসে দাঁড়িয়েছে, যা কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেড এবং লাইট-আপের মাধ্যমে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল এবং ছয়টি আইটিসির মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়। এরপর আইআইজি এবং অপারেটররা গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।