ঢাকা, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

তথ্যপ্রযুক্তি

‘টেলিকম নীতিমালাকে সমৃদ্ধ করতে যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২১, জুলাই ১২, ২০২৫
‘টেলিকম নীতিমালাকে সমৃদ্ধ করতে যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে’ বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

টেলিকম নীতিমালাকে সমৃদ্ধ করতে যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর হলিডে ইন হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং অবকাঠামো’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো প্রজন্মগত রূপান্তর এবং আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। লাইসেন্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্টদের পারফরম্যান্স ও কেপিআই অনুযায়ী। তবে লাইসেন্সের সীমাবদ্ধতাকে সামনে এনে নতুন বিনিয়োগকারীদের পথে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিটিআরসি নিরপেক্ষ গবেষণা সংস্থার সহায়তায় কী পরিমাণ লাইসেন্স প্রয়োজন বা কোন সংখ্যায় অপ্টিমাল সুবিধা পাওয়া যাবে তা নির্ধারণ করছে। তবে অতীতে টোল কালেক্টর হিসেবে যে লাইসেন্সগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো আর বহাল রাখা হবে না।

বিশেষ সহকারী বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়াতে হবে, নইলে তারা গ্রাহক হারাবে। আমরা নেটওয়ার্ককে শুধু কানেক্টিভিটি নির্ভর না রেখে সার্ভিসভিত্তিক করতে চাই। একইসঙ্গে লোয়ার ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি অবমুক্ত করা এবং বিদ্যমান ইকোসিস্টেম সংস্কারের দিকেও কাজ করছি।

তিনি বলেন, নীতিমালাকে সময়োপযোগী করতে যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকেও স্বাগত জানানো উচিত। স্পেকট্রাম মূল্যের বিষয়টিকে রোলআউট ব্যয় হিসেবে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এর আগে এতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। যারা নতুন লাইসেন্স নিয়ে আসবে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামবে। লাইসেন্স সীমিত করা হবে না।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, টেলিকম একটি রিয়েল টাইম সেবা, হঠাৎ করে এর কাঠামো পরিবর্তন করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে টেকসই পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে দেশের অর্ধেক জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না। নীতিমালায় মাইগ্রেশন প্ল্যান রয়েছে, তাই লাইসেন্স বাতিল নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কোনো লাইসেন্স বাদ দেওয়া হচ্ছে না, বরং স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) সচিব জহিরুল ইসলাম বলেন, এই নীতিমালা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিকম রোডম্যাপ প্রয়োজন।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, নীতিমালায় একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা জরুরি।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান নেতৃত্ব গত বিশ বছরে সবচেয়ে উপযুক্ত। তারা একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নীতিমালা উপহার দিতে পারবেন বলে আমি আশাবাদী। এসওএফ ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে কিছু লাইসেন্স বন্ধের পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে, তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব-এর সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার।

টিআর‌এনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলালিংকের সিইও, গ্রামীণফোনের সিইওসহ টেলিকম সেক্টরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।

এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।