নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়ন হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা হুমকির মুখে পড়বে এবং এটি দেশীয় উদ্যোক্তাদের ধ্বংস করার কৌশল বলে মনে করেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কমপ্লেক্সে ‘নতুন টেলিকম পলিসি: দেশি উদ্যোক্তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই মতামত দেন।
মতবিনিময় সভায় আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামের (আইওএফ) সভাপতি আসিফ রব্বানী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত সরকারকে ১৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছি। অথচ আমাদের বিভিন্ন সময় শুনতে হয় আমরা ফ্যাসিবাদী। নতুন টেলিকম পলিসি দেশীয় উদ্যোক্তাদের ধ্বংস করার কৌশল। আমাদের দেশীয় আইজিডব্লিউদের ফরেন রেমিট্যান্স দেশের বাইরে রাখার প্রশ্ন আসে না। বরং বিদেশি অপারেটররা অপারেশনে চলে আসলে মানি লন্ডারিংয়ের প্রশ্ন এসে যায়। সরকারকে আহ্বান জানাবো, আমাদের নিয়ে বসে একটি যুগোপযোগী টেলিকম পলিসি তৈরি করা হোক।
আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি আইএসপি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে করে এ খাতের সম্পূর্ণ দেশীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। পলিসিতে মাত্র কয়েকটি সংশোধনী বা পরিবর্তন তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) বৃদ্ধিতে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।
ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটরদের ফোরাম আইআইজিএবির পক্ষ থেকে সরকারের আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে লাইসেন্সধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ; সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আইটিসিকে অটো কনভার্ট না করে আইটিসি এবং আইআইজি- উভয়কেই তাদের অপারেশনাল মেরিটের ভিত্তিতে আইসিএসপিতে কনভার্ট করার প্রক্রিয়ায় এনে ন্যায্য নীতিমালা প্রণয়ন করার আহ্বান জানানো হয়।
আইএসপিএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার টেলিকম পলিসিতে যেসব পরিবর্তন এনেছে সেজন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে টেলিকম পলিসির পাঁচটি অনুচ্ছেদ দ্রুত সংশোধন বা পরিবর্তন করা উচিত বলে মনে করছি। ক্লজগুলো সংশোধন/পরিবর্তনের পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় এআইওবি সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁঞা, আইওএফের চিফ অপারেটিং অফিসার মুশফিক মানজুর, এআইওবি নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমেদ উর রোমেল এবং টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক মাসদুজ্জামান রবিন বক্তব্য রাখেন।
এমআইএইচ/এনডি