টুইটার ও ফেসবুক এর স্প্যাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন গবেষণা। আর সে কাজে অর্থের যোগান দিতে যাচ্ছে গুগল।
গবেষণায় বেড়িয়ে আসে, বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে অনাকাঙ্খিত বার্তা ছড়িয়ে দিতে স্প্যামারাও সহায়তা করছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে টুইটার ও ফেসবুক এর এমন গবেষণায় অর্থের যোগানদাতা হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী গুগল। গবেষকরা টুইটারে জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ১ লাখ ২০ হাজার প্রকৃত অ্যাকাউন্টধারীদের হালনাগাদ পোষ্ট পর্যবেক্ষণ করেন। একইভাবে মাইস্পেসেও জাল অ্যাকাউন্ট বানিয়ে স্প্যামারদের কৌশল জানার চেষ্টা করে তারা। সেজন্য তৈরি করা হয় বিশেষ সফটওয়্যার। গবেষক লি জানান, টুইটারে ৬১টি জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ৩০ হাজার ৮৬৭ স্প্যামারদের সন্ধান পাওয়া যায়। সামাজিক সাইটগুলোই হচ্ছে স্প্যামারদের মূল লক্ষ্যবস্তু। এমন প্রশ্নের জবাবে লি জানান, সাইটগুলো একেবারেই অরক্ষিত ও ব্যবহারকারীদের স্বভাবগত বিশ্বাস গড়ে উঠায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। উল্লেখ্য, গবেষণা কাজে অর্থপ্রদান গুগলের জন্য নতুন কিছু নয়। আগেও বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের অভিজ্ঞতা আছে গুগলের।
এ মুহূর্তে স্প্যামারদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গুগল এর ব্যয় করা অর্থ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অহেতুক ঝামেলার হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেবে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্যও খানিকটা প্রতিযোগিতার আবহও তৈরি করবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০