ঢাকা: প্রতি বছর এক কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তৈরির মাধ্যমে আগামী চার বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ (এক মিলিয়ন) চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।
‘এশিয়ান গর্ভন্যান্স: প্যারাডক্স অব ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে পলিসি রিসার্স সেন্টার.বিডি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি রফতানির মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে (১ শতাংশ) ভূমিকা রাখার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপায়নে আমরা কিছু ‘কি ফ্যাক্টর’ হাতে নিয়েছি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পর্যাপ্ত অবকাঠামো তৈরি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নিরাপদ আইসিটি নেটওয়ার্ক তৈরি।
২০১৫ সালের মধ্যে উপজেলা এবং ২০১৬ সালের মধ্যে ইউনিয়নগুলোকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবদান রাখতে ‘লার্নিং ও আর্নিং’ প্রকল্পের আওতায় আমরা গত ১০ মাসে ১৫ হাজার ফ্রি-ল্যান্সারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আগামী দু’বছরে আরও ৫৫ হাজার তরুণদের এ খাতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পলিসি রিসার্চ সেন্টার.বিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আকবরউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আত্ম-কর্মসংস্থান তৈরির বিকল্প নেই। তাই যুবকদের দক্ষতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সেমিনারের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৪