খুলনা: খুলনায় তথ্য মেলার প্রথম দিনেই ভীড় জমেছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর জিয়া হল চত্বরে আয়োজিত তথ্য মেলায় প্রধান অতিথি থেকে মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেবামূলক বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল দিয়েছে।
উদ্বোধন শেষে সিটি মেয়র স্টলগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০১৪ পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনা যৌথভাবে দু’দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে।
সিটি মেয়র কেসিসির সোবমূলক খাতগুলির কথা উল্লেখ করে বলেন, ইতোপূর্বে কেসিসির কার্যক্রম অ্যানালগ সিস্টেমে পরিচালিত হতো। ফলে পৌরকর পরিশোধ করেও নাগরিকরা সেবা গ্রহণে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতেন।
এখন পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় ও ইউনডিপির মধ্যস্থতায় কেসিসিকে সম্পূর্ণ অটোমোশনের কার্যক্রমের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উন্নত বিশ্বের মতো সেবাপ্রাপ্তি অনেক সহজ হবে।
তথ্য অধিকার আইন জানতে ও বুঝতে দুই বন্ধুসহ মেলায় ঘুরতে এসেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগ অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগ। শিল্প বিপ্লবের পর পরই সারা বিশ্বে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়, তেমনি অবাধ তথ্য প্রবাহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। তথ্য প্রবাহ সহজ হওয়ায় একদিকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে, অন্যদিকে কম পরিশ্রমে বেশি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সনাক-খুলনার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সনাক-এর প্রাক্তন সভাপতি শিক্ষাবিদ প্রফেসর জাফর ইমাম ও সহ-সভাপতি রোজী রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন মেলা উপ-কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক এ কে হিরু।
অনুষ্ঠানে সনাক-খুলনার নেতাসহ সেবামূলক বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪