ঢাকা: সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিল্ডিং ও ফায়ার সামগ্রীর ডিজাইন করে আইসিইএল প্রাইভেট লিমিটেড। ফলে এসব সামগ্রী ফিটিংস বা ইনস্টল করতে কোনো প্রকার সমস্যা হয় না।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও নিখুঁত গাঁথুনির ফলে আইসিইএল পণ্যের চাহিদা ও কাজের মান প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন আইসিইএল পরিচালক পারভেজ মাহমুদ।
ঢাকা অ্যাপারেল সামিট প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার দ্বিতীয় দিন সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে তিনি এ কথা বলেন।
বিল্ডিং, ফায়ার ও ইলেক্ট্রিক সামগ্রী নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। মেলায় দেশি ৪৪টি ও বিদেশি ৪৮টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
পারভেজ বলেন, উন্নতমানের ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম, ম্যাকানিক্যালসহ সব ধরনের ফায়ার পণ্য, অটোমোটিভ স্পিঙ্ককুলার সিস্টেম, ফায়ার এক্সটেংগুলারসহ সব পণ্য আমাদের রয়েছে।
আইসিইএল কোম্পানির সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, কারখানায় ফায়ার ও বিল্ডিং সামগ্রী দেওয়ার আগে একমাত্র আমরাই নিখুঁতভাবে সফটওয়্যারে ডিজাইন করি। ফলে এসব পণ্য কারখানায় ফিটিংসে সমস্যা হয় না। মানের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নত। সম্পূর্ণ আলাদা একটি ‘আফটার সার্ভিস টিম’ রয়েছে। এ টিমের মাধ্যমে তদারকি করা হয়।
তিনি বলেন, ফায়ার ও বিল্ডিং সামগ্রী ফিটিংস করা খুবই কঠিন। দেশের মধ্যে একমাত্র আমরাই সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিখুঁত ডিজাইন করে এসব সামগ্রী দেই। অন্য কোম্পানির চেয়ে আইসিইএল কোম্পানির সামগ্রী উন্নতমানের। ফলে এসব সামগ্রী ফায়ার ও বিল্ডিং ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় না।
পারভেজ বলেন, সিস্টেম ডিজাইন, ইনস্টলেশন ও সার্ভিস কোম্পানির বৈশিষ্ট। ফায়ার ছাড়াও সিসি টিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, ইনটুডার অ্যালার্ম, বিএমএস সিস্টেম বহু বছর ধরে আমরা আমদানি করে থাকি।
তিনি বলেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে এসব ডিজাইন করার ক্ষেত্রে একমাত্র আমরা দুবাই থেকে এনএফপিএ ট্রেনিং নিয়ে গত ১৪ বছর ধরে আমরা এ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬শ গার্মেন্টস কারখানা থাকলেও আগে লাইফ সেফটি ছিল না। অ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্স’র পরিদর্শনের ফলে বর্তমানে গার্মেন্টস কারখানায় সেফটি বিষয়ে অনেক সচেতনতা বেড়েছে।
ফায়ার সামগ্রীর মূল্য বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মানই মুখ্য, দাম নয়।
তবে এ ধরনের সামগ্রীর প্রদর্শনী সব সময় করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪