ঢাকা: ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ই-কমার্স সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচশ’র মতো ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে কমপক্ষে ৩০০০ পেজ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবাসমূহ অনলাইনে বিক্রি করছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এরপরও বাংলাদেশে ই-কমার্স এখনো সেভাবে জনপ্রিয় নয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বড় শহরেই ই-কমার্স এখনো সীমিত রয়েছে। দেশীয় ই-কমার্স খাতকে গতিশীল করতে হলে সবার আগে ই-কমার্সকে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু, ই-ক্যাব ডিরেক্টর (গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স) রেজওয়ানুল হক জামী এবং ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সারাহ জিতা। অনুষ্ঠানে ই-কমার্স সেবাকেন্দ্রের উদ্দেশ্য ও সেবাসমূহ এবং ‘ই-কমার্স বর্ষ’ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সারাহ জিতা। বিস্তারিত জানতে :www.e-cab.net এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘২০১৫ সালকে ই-কমার্স বছর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা দেশের ই-কমার্স খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক। এর ফলে দেশের ই-কমার্স খাত যেমন উপকৃত হবে, দেশের সাধারণ মানুষের কাছেও ই-কমার্স আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বছরব্যাপী দেশীয় ই-কমার্স খাতে বিরাজমান সমস্যাসমূহ সমাধানে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাবো। ২০১৬ সালে ই-কমার্স খাত যেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪