ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশে ৩০ হাজার দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
দেশে ৩০ হাজার দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করবে সরকার জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা: আগামী তিন বছরে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ৩০ হাজার দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করবে সরকার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষ স্থানীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ এ প্রশিক্ষণ দেবে।


 
৩০ হাজারের মধ্যে ১০ হাজার আইটি ও সায়েন্স গ্রাজুয়েটকে দেওয়া হবে ‘টপ আপ আইটি প্রশিক্ষণ’ এবং ২০ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক ও গ্রাজুয়েটকে দেওয়া হবে ফাউন্ডেশন স্কিল প্রশিক্ষণ। এছাড়া টপ আপ আইটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ তরুণ-তরুণীকে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেওয়া হবে।  
 
গত ১৩ জানুয়ারি সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ’, ‘অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি)’ প্রকল্প এবং ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ এর মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
 
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ’, ‘অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি)’ প্রকল্প এবং ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ যৌথভাবে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে সভাতিত্ব করেন।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, “সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখনই ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং।
 
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আহ্বান জানান।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বর্তমানে দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতির ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। এ নিয়ে অনেকের মনে সংশয় ছিল কিন্তু আমরা গত ছয় বছরে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। ”
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদের চাহিদা পূরণে মানসম্মত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আর এ কারণেই দক্ষ পেশাজীবী তৈরিতে খ্যাতিসম্পন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমার বিশ্বাস আগামী পাঁচ বছরে প্রশিক্ষিত এসব তরুণ-তরুণীরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
 
আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এর পারফরম্যান্স ইম্প্রুভমেন্ট পার্টনার অনুরাগ মল্লিক বলেন, “মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষ স্থানীয় প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান ইনফো প্রো লানিং এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। একই সঙ্গে উন্নত কারিকুলাম প্রণয়নে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সনদ প্রদান করা হবে। ”
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এর ন্যাশনাল লিডার গৌরভ তানেজা, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এর পারফরম্যান্স ইম্প্রুভমেন্ট পার্টনার অনুরাগ মল্লিক ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
 
এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃতৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে মানব সম্পদ গড়ে তোলা ও আইসিটি খাতে রফতানি বৃদ্ধি, ডাটা সেন্টারের সম্প্রসারণ, ই-গভর্নমেন্টের ভিত্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কম্পোনেন্টের বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।