ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্ন্যাপচ্যাটে সেক্সটিং, নগ্নতায় মজেছে ব্রিটিশ টিনেজাররা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
স্ন্যাপচ্যাটে সেক্সটিং, নগ্নতায় মজেছে ব্রিটিশ টিনেজাররা

ফেসবুক টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমে আর মন নেই, এবার ব্রিটিশ তারুণ্যের মন মজেছে স্ন্যাপচ্যাটে। নতুন জরিপ বলছে বিতর্কিত এই সামাজিক নেটওয়ার্কেই এখন বেশি আগ্রহ তাদের।

যেখানে টেক্সটিংয়ের চেয়ে সেক্সটিংই বেশি চলে। আর নগ্ন ছবি তোলা চলে পাল্লা দিয়ে। ব্রিটেনে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের ছেলে-মেয়েরাই এতে বেশি মেতেছে।

ব্রিটেনের স্কুলগুলোর ১১ থেকে ১৬ বছরের ছেলে মেয়েদের ৫৭ শতাংশই এখন স্ন্যাপচ্যাটকে বেছে নিয়েছে তাদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। দেশজুড়ে ৬ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে জরিপ চালিয়ে এই হার পাওয়া গেছে।

ওদিকে পছন্দের তালিকা থেকে পড়ে গেছে ফেসবুক। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগে এখন মোটে ৫২ শতাংশের এই মাধ্যমে ঝোঁক রয়েছে।

সামাজিক নেটওয়ার্কে ইদানিং বড়দের আগ্রহ বেড়ে যাওয়াতেই এমনটা হচ্ছে। সারা বিশ্বে ১৪০ কোটি মানুষ এখন এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। আর টিনেজাররা সুযোগ বুঝে কাট মারতে শুরু করেছে। তারা যাচ্ছে এমন দিকে যাতে তাদের বাবা-মায়েদের নজর কম।

অনেক তরুণ-তরুণী স্ন্যাপচ্যাট পছন্দ করছে কারণ এখানে তাদের প্রাইভেসিটা একটু বেশিই থাকে। এখানে কোনও বার্তা পাঠানো হলে তা দেখার কিছু সময় পর নিজে নিজেই মুছে যায়। এই অ্যাপ’র ভক্তরা এতে নিরাপদ বোধ করে। আর সেজন্য অযাচিত কথাবার্তা-ছবি এটা সেটা চালাচালিতে এই মাধ্যমটা তাদের পছন্দ।

দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। এখন প্রতিদিন এই নেটওয়ার্কে অন্তত ৪০০ মিলিয়ন স্ন্যাপ চালাচালি হয়।

অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ম্যাটারস’র জেনারেল ম্যানেজার ক্যারোলিন বান্টিং মনে করছেন পরিণতি না বুঝেই টিনেজাররা এই ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারে ঝুঁকছে, আজ স্ন্যাপচ্যাটে, কাল হয়তো অন্য কিছুতে কিন্তু দায়িত্ব নিতে হবে বাবা-মাকেই। তাদের কথা বলতে হবে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে, তারা কখন কি করছে তার খোঁজ খবর রাখতেই হবে।

ছেলে মেয়েরা কি পোস্ট দিচ্ছে, কাদের সঙ্গে চলে তাদের কথপোকথন তা জানতে হবে আর এসবের পরিণতি কি হতে পারে সে নিয়ে ধারণা দিতে হবে।

‘আমরা এর নাম দিয়েছি বিলবোর্ড টেস্ট’ বলেন ক্যারোলিন। যা কিছু তুমি বিলবোর্ডে দেখাতে চাইবে না তা স্ন্যাপচ্যাটেও দিওনা।

ফেসবুকের ইন্সট্যাগ্রাম দিয়েও ছবি পোস্ট করছে অনেকে। তরুণদের মাঝে ৬০ শতাংশ ইন্সট্যাগ্রাম ব্যবহার করে। আর ৫৮ শতাংশ এখন তাদের স্কুল কিংবা বাড়িতে বসে বন্ধুদের সঙ্গে টেক্স আদান প্রদানে ব্যবহার করছে অ্যাপলের আই-মেসেজ।

টুইটার এখন অবশ্য পড়ে গেছে অনেক পেছনে। ব্রিটেনের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জনকে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট ব্যবহার করতে শোনা যায়।

বয়সের মাপকাঠির থাকলেও তা থেকে ফল আসছে না। তাত্বিকভাবে স্ন্যাপচ্যাট বা ফেসবুক ব্যবহারের জন্য বয়সসীমা তের। যদিও এর চেয়ে অনেক কম বয়সীরা বয়স চুরি করে এই মাধ্যম ব্যবহার করে চলেছে অহরহ।

বাংলাদেশ সময় ১০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।