ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিফোনের সরঞ্জাম কিনে ১০৩ কোটি টাকা দেনায় ডাক বিভাগ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
টেলিফোনের সরঞ্জাম কিনে ১০৩ কোটি টাকা দেনায় ডাক বিভাগ

সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) কাছ থেকে ল্যাপটপ, এক্সেসরিজ, পিওএস মেশিন, ফিংগার ভেইন মেশিন, ফটো প্রিন্টার এবং সোলার সিস্টেম কিনে ১০৩ কোটি টাকার দেনায় পড়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

ঢাকা: সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) কাছ থেকে ল্যাপটপ, এক্সেসরিজ, পিওএস মেশিন, ফিংগার ভেইন মেশিন, ফটো প্রিন্টার এবং সোলার সিস্টেম কিনে ১০৩ কোটি টাকার দেনায় পড়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
 
সরকারের ‘ভিশন-২০২১’  ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি সফল করতে ‘পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এগুলো কিনে এখন দেনা পরিশোধ করতে পারছে না বিভাগটি।

 

সম্প্রতি টেশিসের দেনা পরিশোধ করতে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) থোক বরাদ্দ চেয়েছে বিপাকে পড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।


বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের সচিব তারিক-উল-ইসলামের কাছে চাহিদাপত্রও (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপি’তে আরও ১০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পরিকল্পনা সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
 
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘থোক বরাদ্দের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা আছে, কোনো সমস্যা নেই। তবে বরাদ্দ দেওয়ার আগে আমরা ডাক বিভাগের চাহিদার বিষয়টি আরও স্টাডি করে দেখবো। যদি দেখি, তাদের চাহিদা ঠিক আছে, তবেই আমরা অতিরিক্ত থোক বরাদ্দ দেবো’।
 
প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০৬টি ডাকঘরে পোস্ট ই-সেন্টার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। মোট সাড়ে ৮ হাজারটি পোস্ট ই-সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি সারা দেশে নতুন করে  ছড়িয়ে দেওয়া হবে ইলেকট্রিক মানি অর্ডার ‍সার্ভিসও। এ লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে মানি অর্ডার সার্ভিস চালুর কাজ চলমান আছে।
 
২০১৭ সালে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্পটির জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আরএডিপি’তে বরাদ্দ পাওয়া যায় ৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান টেশিসের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৫৩ কোটি টাকার ল্যাপটপ, এক্সেসরিজ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনা হয়। কিন্তু ওই ১৫৩ কোটি টাকা ছাড় করেনি অর্থ বিভাগ।

এরপর চলতি অর্থবছরের এডিপি’তে আগের দেনা পরিশোধে প্রকল্পের অনুকূলে সরকারি খাত থেকে কিছু টাকা পায়  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তা পরিশোধের পর এখনও ১০৩ কোটি টাকা পাবে টেশিস।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ও প্রকল্প পরিচালক এস এস ভদ্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে টেশিসের কাছ থেকে ল্যাপটপ, এক্সেসরিজ, পিওএস মেশিন, ফিংগার ভেইন মেশিন, ফটো প্রিন্টার এবং সোলার সিস্টেম কেনা হয়েছে। ফলে তাদের (টেশিস)  কাছে আমাদের কিছু দেনা হয়েছে’।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।