গত ১১ জুলাই ফেসবুক এর অ্যাপলিকেশনে প্যানিক বাটন যুক্ত হয়। ফেসবুক এর শিশু ও কিশোর ব্যবহারকারীদের হয়রানির অভিযোগ করার সুযোগ দিতে এ সেবা চালু করা হয়।
গত নভেম্বর থেকে সিইওপি (চিল্ড্রেন এক্সপ্লোসিয়েশন অ্যান্ড অনলাইন প্রটেকশন) অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব সামাজিক নেটওয়াকিং সাইটের জন্য প্যানিক বাটন উন্মুক্ত করে। সর্বপ্রথম সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট বেবো এ বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে। পরে মাইস্পেসও এ সেবা গ্রহণ করে।
তবে সে সময় ফেসবুক সূত্র জানায়, তাদের সাইটের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই যথেষ্ট। কিন্তু গত কয়েক মাসে ফেসবুক এ শিশু-কিশোরদের যৌন হয়রানির প্রবণতা অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জনপ্রিয়তা পাওয়ায় প্যানিক বাটন সেবাকে স্বাগত জানিয়েছে ফেসবুক। তবে এ সেবার ফলে ইন্টারনেট নিরাপত্তা পুরো নিশ্চিত হচ্ছে না বলেও দাবি করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জোয়ানা শিল্ড মন্তব্য করেন, এ মুহূর্তে অনেক ব্যবহারকারী অ্যাপলিকেশনটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করছে। এটা খুবই ভাল খবর। কারণ সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু এতে ইন্টারনেট নিরপত্তা কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছে তা নিশ্চিত নয়।
প্যানিক বাটন এর ব্যবহার বেড়েছে। আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের আগের যুক্তরাজ্যের মাত্র ২৮ জন ভুক্তভোগী এ বাটনের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ জানিয়েছিল। আর উন্মোচনের পরের মাসে ২১১ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী এ বাটন ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজার বার প্যানিক বাটন অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে বলে সিইওপি সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০