ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফ্রিল্যান্স খাতে আয় হবে ১ বিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ফ্রিল্যান্স খাতে আয় হবে ১ বিলিয়ন ডলার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ফ্রিল্যান্স খাতে। তাই সরকার ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার গড়ে তুলতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে আয় হবে এক বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ফ্রিল্যান্স খাতে। তাই সরকার ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি উদ্যোগ নিয়েছে।

দক্ষ ফ্রিল্যান্সার গড়ে তুলতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে আয় হবে এক বিলিয়ন ডলার।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বনানীতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইন্টার অ্যাকটিভ সেশনে এসব কথা বলেন।

এরপর প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।
জুনায়েদ আহমেদ বলেন, আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যার নাম হচ্ছে আইডিইএ। এই প্রকল্পে অধীনে আমরা যেকোনো আইডিয়াকে স্বাগত জানাই। আইসিটি সংশ্লিষ্ট নতুন কোনো আইডিয়া থাকলে তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে জানবেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি লক্ষ্য নিয়ে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ হাজার বিশ্বমানের ফিল্যান্সার তৈরি করতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার আয় হবে। কাজেই এ খাত অনেক সম্ভাবনার।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সার তৈরির জন্য সারাদেশে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং মেলা চলছে। এতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে অনেকে আয় করাও শুরু করেছেন।

জুনায়েদ আহমেদ বলেন, গেমিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। ‘অ্যাংরি বার্ড’ গেমটির ভ্যালু এখন সাত বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশের রিজার্ভ হচ্ছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। কাজেই ভালো একটি গেম তৈরি করতে পারলেও কাজের কাজ হবে। এজন্য হতাশার কিছু নেই। ফিনল্যান্ডের ‘অ্যাংরি বার্ড’ যারা তৈরি করেছেন, ওটা তাদের ৪৬তম প্রোডাক্ট। কাজেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও আইসিটি বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তিতে নিজ নিজ দফতরের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেমস গোমেস, আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং এর প্রতিনিধি শাহ মো. ইমরান ও আইসিটি বিভাগের পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সই করেন।

আইসিটি বিভাগ এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ২০ হাজার দক্ষ লোকবল (আইটিতে ১০ হাজার ও নন আইটিতে ১০ হাজার) তৈরির কাজ করছে। এই সুবিধা পেতেই বিশ্ববিদ্যালয়টি এ সমঝোতা চুক্তি করে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. উইলিয়াম এইচ ড্যারেঞ্জার, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের প্রধান উপদেষ্টা এম এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

ইইউডি/এএটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।