ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স উদ্বোধন ছবি: সংগৃহীত

যাত্রা শুরু করেছে ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স (আইএসএ)।

যাত্রা শুরু করেছে ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স (আইএসএ)। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ’র এই উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার।

সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিটিআরসির হিসাবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সংখ্যা ৫৮.৩১ মিলিয়ন।

বাংলাদেশে প্রায় সব সেক্টরই এখন সনাতন পদ্ধতির পরির্বতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অনলাইন লেনদেনের সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে।

তবে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং এর প্রয়োগিক সফলতায় নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা প্রযুক্তির প্রয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে নিরাপত্তার ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে ক্রমান্ময়ে। আর এ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে ডিজিটালাইজেশনের সুফল ব্যহত হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ কারণে প্রযুক্তির ব্যবহার সংকীর্ন করা যেমন অসম্ভব তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাও কাম্য নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সমাধান, সাবধানতা এবং সচেতনতা। আর এ কাজটি করতে হবে যুগবদ্ধ হয়ে।

দেশে বিছিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যক্তি বা সাংগঠনগুলো নিরাপত্তা সচেতনতায় কাজ করছে। এই কর্মকান্ডগুলোকে একীভূত করতে পারলে তার সফলতা অনেকগুন বেড়ে যাবে। যা এই মূর্হুতে খুবই প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্বির আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষেই সিটিও  ফোরামের এই পদক্ষেপ।

আইএসএ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কেও অবগত করেন তিনি।

বক্তব্যে শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন তথ্যপ্রযুক্তি দেশের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধ পরিকর। সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগে যে সফলতা এসেছে তা আজ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তথ্যপ্রাপ্তি।

সরকারের পক্ষ থেকে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন থাকলেও সময়ের দাবিতে এর পরিবর্তন ও পরিমার্জন প্রয়োজন। এজন্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই এ্যালায়েন্স ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নিরাপদ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণে তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, দোহাটেকের চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা, বিডিসিইআরটির  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন আহম্মদ সাবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক.মো:হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আইটি ম্যানেজার মো. আরিফ এলাহি মানিক।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক ড. তৌহিদ ভূইয়া। এ সময় তিনি বলেন, অনলাইন সুবিধা ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, কিন্তু একইসময়ে সাইবার ঝুঁকির কারনে এটা সে প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপুল আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে।

বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সৃষ্ট বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকি, সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত প্রযুক্তির জ্ঞান ও সুশাসনের অপর্যাপ্ত উদ্যোগের কারনে মানুষ ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলায় যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারছে না। ফলে সাইবার ক্রাইম একটি প্রধান হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

গত কয়েক বছরে উচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু সাইবার আক্রমণের ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।