বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে।
i2i নামক একটি সাবমেরিন টিলিকমিউনিকেশন ক্যাবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত যুক্ত। এ ক্যাবলের মালিকানায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড। ক্যাবলে ৮ জোড়া ফাইবার রয়েছে, যার মধ্যে ৮.৪ টেরাবাইট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন সম্ভব। কিন্তু চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীর থেকে ৪০ কি.মি. দূরে ক্যাবলটি কাটা পড়ার কারণে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাত ২টা থেকে ক্যাবলটি অকেজো হয়ে পড়ে।
টাটা ইনডিকম ক্যাবল (TIC) নামে আরও একটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত সংযুক্ত রয়েছে যা, টাটা ইনডিকম ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর ক্যাবল সিস্টেম (TIISCS) নামেও পরিচিত। ৩.১৭৫ কি.মি. দীর্ঘ এ ক্যাবলটি ভারতের চেন্নাই ও সিঙ্গাপুরের চাঙ্গির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এতেও ৮ জোড়া ফাইবার রয়েছে যা, ৬৪*১০ জিবিপিএস টেকনোলজির মাধ্যমে তৈরি। এটি ৫.১২ টেরাবাই/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ পরিবহনে সক্ষম। এর শতভাগ মালিকানা টাটা কমিউনিকেশন্স। বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১টা থেকে এ ক্যাবলটিও অকেজো হয়ে পড়ে।
এছাড়া ইন্ডিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ (IMEWE) আরেকটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার অপটিক ক্যাবল দ্বারা ভারত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত। এই ক্যাবলটিও এখন অকেজো রয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তবে আগামী ২০ জানুয়ারির (শুক্রবার) মধ্যে ইন্টারনেটে এ ধীরগতি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছে আইএসপি। যদিও TIC ক্যাবলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট জনানো হয়নি।
এ ক্যাবল তিনটির মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ইন্টানেটের গতি আগের মতো স্বাভবিক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
জিপি/জেডএস