প্রতিষ্ঠান দু’টি টেলিটকের এক হাজার ৯৫৭টি সাইটে (নেটওয়ার্ক টাওয়ার) টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৩০৫টি পুরনো টুজি সাইটে আপডেট ভার্সন সংযুক্ত করবে।
এ লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে বুধবার (১১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টেলিটকের সঙ্গে নকিয়া ও অ্যালকাটেলের চুক্তি সই হয়।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবং নকিয়ার পক্ষে নিকোলাস বউভার্ট এবং অ্যালকাটেলের পক্ষে রোলান্ড রেনিয়ার চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘মর্ডানাইজেশন অ্যান্ড এক্সপেনশন অব টেলিটক’স টুজি/থ্রিজি নেটওয়ার্ক আপ টু রুৠাল এরিয়াস প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে টেলিটকের নেটওয়ার্ক গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ ও সুসংহত করার লক্ষ্যে মোট এক হাজার ৭০০টি নতুন সাইটে টুজি বিটিএস, ৩০৫টি পুরান বিটিএস প্রতিস্থাপন, এক হাজার ৫০০টি সাইটে থ্রিজি নোডবি-সহ আনুষঙ্গিক নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব কাজ তিনটি প্যাকেজ তিন ভেন্ডরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনটি প্যাকেজের মধ্যে প্যাকেজ-১ এর ওপর গত বছরের ২৭ জুন হুয়াউয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ৬৮৫টি টুজি বিটিএস ও ৫৫৯টি নোটবি বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্যাকেজ-২ এর আওতায় নোকিয়া ১৮.৪ এবং প্যাকেজ-৩ এর আওতায় অ্যালকাটেলের সঙ্গে ১৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই হলো।
টেলিটকের এমডি জানান, নকিয়ার সঙ্গে প্যাকেজ-২ এর আওতায় বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ৫৯০টি সাইটে টুজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৩০৫টি সাইটে পুরান টুজি বিটিএস সর্বশেষ ভার্সনে প্রতিস্থাপিত হবে।
এছাড়া ৫৫২টি সাইটে সর্বশেষ ভার্সনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে নোকিয়া।
প্যাকেজ-৩ এর আওতায় ঢাকার উত্তরা, গাজীপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ৪২৫টি সাইটে টুজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৩৯০টি সাইটে সর্বশেষ ভার্সনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ২০১৮ সালের মধ্যে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে এবং জনসাধারণের মাঝে টেলিটকের দুর্বল নেটওয়ার্ক বিষয়ে যে আক্ষেপ তা উত্তরণে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তারানা হালিম।
টেলিটকের ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্প এ বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ওই সময়ে এমএনপি চালু হবে। যাতে টেলিটক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। নেটওয়ার্ক উন্নত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
গত বছরের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরুর পরে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা কমলেও ছয় লাখ বেড়ে এখন ৩৮ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
ভিওআইপি’র অবৈধ কার্যক্রমের অভিযানে টেলিটকের সিমও পাওয়া যাচ্ছে- এবিষয়ে তারানা হালিম বলেন, অপারেটরের নাম না দেখে বিটিআরসিকে অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। টেলিটককেও জানানোর দরকার নেই। ভিওআইপি’র অবৈধ কার্যক্রম কমে গেছে এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
‘কোন অপারেটর, কত বিগ অপারেটর, স্মল অপারেটর কিচ্ছু দেখার দরকার নেই, বলেন তারানা’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭/আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস