সকাল থেকে পদচারণা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গার্মেন্টেস সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বছর ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চারটি মূল হল ঘুরে দেখা গেছে, স্টলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির নানা ধরনের মেশিনের ব্যবহার দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। দর্শকদের পদচারণায় জমে উঠেছে মূল হলের বাইরে আলাদা করে তৈরি করা প্যাভেলিয়নগুলোও।
মেশিনারিজ বিক্রেতা সানস্টার কোম্পানি লিমিটেডের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার ইমতেয়াজুল ইমরান রায়হান বলেন, এবারের মেলায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। বিশেষ নতুন কিছু আধুনিক মেশিনের প্রতি আগ্রহও বেশি ছিল ক্রেতাদের।
কনভেনশন হলের বাইরের প্যাভেলিয়নের ১০৭নং স্টলে নিজেদের পণ্য ক্রেতাদের দেখাতে ব্যস্ত ট্র্যাডেক্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিংয়ের সেলস এক্সিকিউটিভ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা জায়গা পেয়েছি বেশি। সে কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বেশি ছিল। গতবার ক্রেতারা যে সময় দিয়েছেন, এবার তার চেয়ে বেশি সময় দিয়ে মেশিনারিজগুলো দেখেছেন। আমরাও তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে পেরেছি’।
মেলা শেষ হওয়ার পর গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রির ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী এই বিক্রেতা।
তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি দেখতে আসা রঞ্জু এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কালেদুর রহমান বলেন, ‘এ বছর মেলায় প্রদর্শিত প্রযুক্তিগুলো আপডেট হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম সময়ে বেশি পণ্য তৈরিরও বেশ কিছু মেশিন দেখেছি’।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে এগিয়ে নিতে এ মেলা বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে প্রাইভেট কোম্পানির পরিচালক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘মেশিন এসেছে অনেক ধরনের। আধুনিকায়নের ক্ষেত্রেও আপডেট করা হয়েছে সেগুলোকে। আমাদের জন্য এ মেলা আশীর্বাদস্বরুপ’।
মেলার আয়োজক জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী টিপু সুলতান বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর মেলার পরিধি বেড়েছে। ফলে প্রোডাক্টের সংখ্যা বেড়েছে এবং সেগুলো দেখতে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। এ মেলার মূল লক্ষ্য, কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্ট ও আধুনিক টেকনোলজি সম্পর্কে গার্মেন্টস সেক্টরকে অবগত করা।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফরম। এখানে উৎপাদকরা তাদের প্যাকেজিং বিভিন্ন আধুনিক টেকনোলজি প্রদর্শন করেন। যেন গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের দেশীয় উৎপাদকরা পণ্যের ব্যাপারেও উন্নত ধারণা পেতে পারেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে ভিশন ২০২১ সালের যে টার্গেট সরকার নিয়েছে এ মেলা তারই একটি অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৮ জানুয়ারি পোশাক খাতের সহায়ক পণ্য ও মোড়কীকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলাটি শুরু হয়। গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারর্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এসকে ইন্টারন্যাশনাল, জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল সম্মিলিতভাবে ৪ দিনের এ অষ্টম গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এক্সপোজিশনের-২০১৭ (গ্যাপেক্সপো) আয়োজন করেছে। মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ দেশ-বিদেশি ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬০০টি স্টল রয়েছে।
শনিবার রাতে শেষ হচ্ছে গ্যাপেক্সপো।
** নিউ টাচের ফায়ার ডিটেকশন ও প্রটেকশন মেশিন
** রঙ উঠলে ৩০ লাখ টাকার মেশিন ফ্রি
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
জেডএফ/এএসআর