সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এই ই-লার্নিং পদ্ধতি বিশাল ভূমিকা রাখে পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ও ইতিবাচক ভূমিকাও পালন করে।
তাই ম্যাকউইডেন এডুকেশন (McWeadon Education) বাংলাদেশে প্রথমবার এ ধরণের পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উদ্যোক্তারা আশাবাদী তাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে জীবনভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদেরকে পেশাদারি কাজের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারবেন।
শিক্ষা-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জনসাধারণের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে এবং তাদের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে অত্যন্ত সহজভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এতে করে যে কেউ যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে সুবিধামতো মোবাইল ফোনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভাগ্য বদলানোর সুযোগ পাবেন।
সে জন্যই ম্যাকউইডেনের এই কর্মসূচির স্লোগান দেয়া হয়েছে ‘লার্নিং উইথআউট বাউন্ডারিস’।
যাদের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় এগিয়ে চলছে ম্যাকউইডেন এডুকেশনের এই কার্যক্রম, তারা হলেন: ড. বদরুল হুদা খান (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ম্যাকউইডেন এডুকেশন), রেদোয়ান চৌধুরী (সিইও, ম্যাকউইডেন এডুকেশন গ্লোবাল অপারেশনস), এ্যন্থনী পিউস গমেজ (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ অপারেশনস), ফয়সল কাদের (নির্বাহী পরিচালক, সাইবার সিকিউরিটি, গ্লোবাল অপারেশনস) ও আরিফুল ইসলাম (মিডিয়া সমন্বয়ক, বাংলাদেশ অপারেশনস)।
ই-লার্নিং পদ্ধতিতে সাধারণ জনগণকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্নদ্রষ্টা বদরুল হুদা খান বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সহজলভ্য পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে সমাজের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজটি করতে হলে ই-লার্নিংকে তাদের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনের অংশ হিসেবে কমিউনিকেশন অ্যান্ড কানেকটিভিটির মাধ্যমে বিশ্বকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা উপলব্ধি করে ম্যাকউইডেন এডুকেশনের ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল ডিভাইসে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রত্যাশায়।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে যেসব বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ শুরু করা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে
- ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ (Empowering Entrepreneurs)। প্রশিক্ষক: নজরুল ইসলাম খান।
- সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security)। প্রশিক্ষক: ফয়সল কাদের (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট, টেকনাফ, এলএলসি)।
- গ্র্যান্ট রাইটিং (Grant Writing)। প্রশিক্ষক: রেদোয়ান চৌধুরী (প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, উদয়ন ফাউন্ডেশন)।
- সমাজ উন্নয়নে সাংবাদিকতা (Journalism & Social Development)। প্রশিক্ষক: এ্যন্থনী পিউস গমেজ (সাংবাদিক-কলামিস্ট)
- ইংরেজি কথোপকথন (Spoken English)। প্রশিক্ষক: মৈত্রেয়ী নায়েক (আইটি সাইবার সিকিউরিটি, ব্যাংক অব আমেরিকা)।
সবমিলিয়ে ম্যাকউইডেন’র গৃহীত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে খুব সহজভাবে। ফলে সাধারণ জনগণ তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দিয়ে ই-লার্নিং পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটি জীবনভিত্তিক পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্য আরও কোর্স ঘোষণা করবে শিগগিরই।
তাই সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বা নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিতে চায়, তাদের সুবিধায় ‘ম্যাকউইডেন এডুকেশন’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ও যোগাযোগ করার ঠিকানা তুলে ধরা হলো।
ওয়েবসাইট ও ইউটিউব লিংক:
ইমেইল ঠিকানা: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এসজেডএম