সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এসিসিএ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিপিও খাতের উন্নয়নে পেশাজীবী সংগঠনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিসিএ বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার - স্ট্র্যাটেজিক রিলেশনস্ সৈয়দ আসিফ আজিজ।
অনুষ্ঠানে এসিসিএ রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর মিডেল ইস্ট নর্থ আফ্রিকা সাউথ এশিয়া (MENASA) স্টুয়ার্ট ডানলোপ, এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মহুয়া রশিদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের লিড ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিষ্ট সুরাইয়া জান্নাত, বাক্য’র প্রেসিডেন্ট আহমাদুল হক, বাক্য’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, বেসিস ডিরেক্টর উত্তম কুমাল পাল, ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট রাজীব আহমেদ ছাড়াও আইসিটি, বিপিও এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের বাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার দিকটি তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক খাতের পরবর্তী অগ্রাধিকার হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ও বিপিও খাতকে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিং আউটসোর্সিং বিপিও খাতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে দেশের বিপিও খাতকে আরো সম্প্রসারণ ও গতিশীল করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিভিন্ন খাতে বিশেষকরে সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালনাধীন ফাইন্যান্স সার্ভিসকে নৈতিক, দক্ষ ও কার্যকর করা অত্যাবশ্যক।
এসিসিএ রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর মিডেল ইস্ট নর্থ আফ্রিকা সাউথ এশিয়া (MENASA) স্টুয়ার্ট ডানলোপ বলেন, বিপিও খাতে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের সেই সামর্থও রয়েছে। মানব দক্ষতা ও ব্যবসার পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে বসে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা ও কাজ করার বড় একটি সুযোগ এই বিপিও শিল্প।
এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও এবং শেয়ার্ড সার্ভিস ক্ষেত্রে কাজ করার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে এসিসিএ’র। বিপিও’র জন্য বিশেষায়িত যোগ্যতাও এসিসিএ ইতোমধ্যে অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, শীর্ষ বিপিও খাতের দেশ শ্রীলঙ্কা, ভারত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ সাব সাহারান আফ্রিকার আরো কিছু দেশের বিপিও খাতের জন্য শক্তিশালী জনবল তৈরিতে কাজ করেছে এসিসিএ। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের বিপিও খাতের উন্নয়নেও কাজ করবে এসিসিএ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাক্য‘র সভাপতি আহমাদুল হক, বাক্য’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, বাক্য,র সাধারন সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ছিল-অন্যান্য দেশে এসিসিএ ও বিভিন্ন সরকারি অংশীদারিত্বের অবস্থা, বিপিও নিয়োগদাতাদের জন্য এসিসিএ’র প্রযুক্তিগত দক্ষতা সহায়তা, অন্যান্য দেশে এসিসিএ সার্টিফায়েড বিপিও প্রফেশনাল নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ ও তাদের সংখ্যা, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের বিপিও খাতের উন্নয়নের বিভিন্ন মাধ্যম, সরকারের বিপিও খাত উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসিসিএ’র অংশগ্রহণ ও স্বীকৃতি, নিয়োগদাতা/ ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণের উপযোগীতা, কার্যকর জনবল তৈরিতে পেশাদার ব্যক্তি ও সংগঠনের করণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসজেডএম