বেসিস ও ইকাডেমি আয়োজিত এই সেমিনারে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিসহ আগ্রহী অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে বেসিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে এম রাশিদুল হাসান বলেন, সময়ের চাহিদায় স্থানীয় পর্যায়ে ডাটা সেন্টার স্থাপন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক এমনকি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে ডাটা সেন্টার স্থাপন অত্যন্ত জরুরী।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংকস, অগমেন্টেড/ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনপ্রিয়তায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইটি ও ডাটা সেন্টার স্ট্রাটেজিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
বেসিসের পক্ষ থেকে এর সদস্যসহ বাংলাদেশি আইটি কোম্পানির ডাটা সেন্টার সম্পর্কিত পরিকল্পনা গ্রহণে কাজ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে এ ধরণের সেমিনারের ধারাবাহিকতা থাকবে বলে জানান বেসিস সহ-সভাপতি।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ওট্টো ডি রো ইন্টারঅ্যাকটিভ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বর্তমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের নতুন ব্যবসায় ও সোশ্যাল মিডিয়ার পরিবর্তন ও এর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
একইসাথে গ্রাহকদের চাহিদানুযায়ী নিরাপদ ডাটা সেন্টার ব্যবস্থাপনা নিয়ে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, নতুন ব্যবসায় ও তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতার দ্রুতবর্ধমান চাহিদানুসারে আগামী কয়েক বছরে ডাটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি অন্তত দুই ডিজিট বড় হবে।
ইকাডেমির পরিচালক মনির আহমেদ ডাটা সেন্টার দক্ষতার উপর গুরুত্বারোপ করার সময় বলেন, আমাদের দেশে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা নতুন এই প্রযুক্তির সাথে সমন্বিত নয়। অনেকেই ভেন্ডর সার্টিফিকেশন প্রশিক্ষণ নিলেও ডাটা সেন্টার ফ্যাসিলিটি ডিজাইন, অপারেশন, ক্যাপাসিটিতে প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থী খুবই কম।
কিন্তু সময়ের চাহিদায় এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তাই বেসিসের সকল সদস্য প্রতিষ্ঠান ও প্রফেশনালদের জন্য ইপিআই এর বাংলাদেশি পার্টনার ইকাডেমিতে সকল প্রশিক্ষণে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।
বাংরাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এসজেডএম