পোস্ট ও কমেন্টের প্যাটার্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা চিহ্নিত করে এ সফটওয়্যার। ব্যবহারকারীর করা পোস্ট ও কমেন্ট স্ক্যান করে এর মধ্য থেকে আত্মহত্যার ঝুঁকি বিদ্যমান এমন সব উপাদান, যেমন- ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ ‘আপনার কি সাহায্য প্রয়োজন?’ ইত্যাদি খুঁজে বের করবে সফটওয়্যারটি।
আত্মহত্যার কোনো সম্ভাবনা পাওয়া মাত্র ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হবে। ফেসবুক তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানাবে। ব্যবহারকারীকে টেলিফোন হেল্প লাইনের মাধ্যমে সাহায্য গ্রহণেরও পরামর্শ দেওয়া হবে।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আমরা সফলতা পেয়েছি। সুতরাং, অন্য দেশের জন্যও আমরা সফটওয়্যারটি চালু করতে যাচ্ছি। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে সময় খুবই মূল্যবান। সাহায্যপ্রত্যাশী মানুষের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে চাই আমরা।
জানা যায়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। এসব কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেদেশের ভাষায় সতর্ক করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
গত মার্চ মাসে পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চালু করা হয়েছিল সফটওয়্যারটি। যুক্তরাষ্ট্রে এর সফলতা পাওয়ায় অন্য দেশেও তা চালু করা হবে। তবে ঠিক কোন কোন দেশে তা চালু করা হচ্ছে এ বিষয়ে কিছু জানাননি ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট। শুধু জানানো হয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কিছু দেশ বাদে বাকি সবগুলো দেশেই তা চালু হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ