ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৯ বছরের পথ চলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রভাবিত করেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
৯ বছরের পথ চলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রভাবিত করেছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা

ঢাকা: গত ৯ বছরের পথ চলায় তথ্যপ্রযুক্তি জীবন-যাপনকে প্রভাবিত করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে।

জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন।

তিনি জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালনের ঘোষণা দেন।

স্পিকার বলেন, প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব গত মাসে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। বিজয়ের এ মাসে আরেকটি দিবস যুক্ত হলো।

দেশে প্রথমবারের মতো এ দিবস পালিত হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যোগ করেন স্পিকার।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ৯ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালে আইসিটি পলিসি গঠন করা হয়। তার ভিত্তিতে সবকিছু চলছে। এখাতের যা গতি আগামী বছর এক বিলিয়ন এবং ২১ সালে আইটি পণ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি করা যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ বলেন, এটা আন্তর্জাতিক নয় বাংলাদেশের নিজস্ব 'জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস'। এটি আমাদের সম্পত্তি। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

ইন্টারনেটভিত্তিক টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ইন্টারনেটের শক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন গল্প বলেন।

এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বের করা হয় শোভাযাত্রা। বিতরণ করা হয় ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার-২০১৭’। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
কেজেড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।