বিআইসিসির মিডিয়া বাজার হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মোমবাতি জ্বালিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাংবাদিক-নির্মাতা বিপুল রায়হান, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান, এইচপির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মো. আদিল, ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারি, আবার কম্পিউটার-ল্যাপটপও ব্যবহার করতে পারি। বাঙালিরা সব কিছুই পারে। যেভাবে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। তাই তোমরা তোমাদের শক্তি কাজে লাগাও। প্রজন্মের কাছে বলতে চাই, শোককে শক্তিতে পরিণত করে তোমরা কাজের বাস্তবায়ন করো।
শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান বিপুল রায়হান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে আন্তর্জাতিক দিবসে পরিণত করতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। কারণ তালিকা করে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
শোকের আবহে শুরু হওয়া মেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গণহত্যার ইতিহাস ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরবে ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’। প্যাভিলিয়নে থাকবে একাত্তরে দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত বিভিন্ন গণহত্যা এবং সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন ইতিহাস, ছবি। তবে সেখানে তরুণ প্রজন্মকে জানানোর জন্য প্রযুক্তির সহায়তায় সে সব ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা রয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেলায় গণহত্যা প্যাভিলিয়নে রয়েছে নানান আয়োজন। আর এ আয়োজন চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় কিংবা পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
***ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধন
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ