ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

চাহিদায় শীর্ষে আইফোন-১০ আর

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
চাহিদায় শীর্ষে আইফোন-১০ আর আইফোন-১০ আর মডেলের দু’টি স্মার্টফোন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এবারের লঞ্চ করা আইফোন-১০ এস এবং আইফোন-১০ এস ম্যাক্স-এর চেয়ে প্রযুক্তির বাজারে অনেক বেশি চাহিদা পড়েছে আইফোন ১০ আর-এর। প্রি-অর্ডারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ মডেলটিতে প্রযুক্তিপ্রেমীরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যে কারণে ইতোমধ্যেই এর ৫০ শতাংশ অর্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গেছে।

লঞ্চ করা দুই সিমের অন্য দু’টি মডেলের চাহিদাও বাজারে কম নয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলও সবচেয়ে বেশি সেল আশা করছে আইফোন-১০ আর থেকে।

শীর্ষস্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এবার লঞ্চ করা তিনটি মডেলেই চাহিদা বেড়েছে।

অর্ডারের চাপ লেগে গেছে সবগুলোরই। তবে অর্ডারের ধরন দেখে বলা যায় সবচেয়ে বেশি সেল হবে আইফোন-১০ আর। এছাড়া এ মডেলটি প্রযুক্তির বাজারে ২০১৯ (সেপ্টেম্বর) সিরিজ আসার আগ পর্যন্ত ব্যাপক চাহিদায় থাকবে বলেও জানিয়েছে অ্যাপল।

আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে আইফোন-১০ আর-এর সেল শুরু হবে। আর এ সময়ের মধ্যে মডেলটির প্রায় ২০ মিলিয়ন ফোন তৈরি করবে অ্যাপেল।

৬.১ ইঞ্চি বড় ইডিজিই টু ইডিজিই এলসিডি ডিসপ্লেসহ অনেক ভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আইফোন-১০ আর-এ। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে এটির দামও কম। এছাড়া এটি পাওয়া যাবে ব্ল্যাক, হোয়াইট, রেড, ইয়েলো, কোরাল ও ব্লু এ ছয় রঙে। ধারণক্ষমতা ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ গিগাবাইট। আর এসব কারণেই এর চাহিদা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাপলের লঞ্চ অনুষ্ঠানের স্ক্রিনে আইফোন-১০ আর, ছবি: সংগৃহীতএশিয়া দেশ চীনে ইতোমধ্যেই এর চাহিদা অন্যগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বলছে।

ওয়েবসাইটগুলো বলছে, আইফোন-১০ এস ভালো করে বাজার ধরতে পারবে না। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন, এ মডেলটি দেখতে আইফোন-১০ এর মতো। ফিচারও অনেকটা না-কি একইরকম। যদিও এতে ‘এ১২ বিওনিক চিপ’ সংযোজন এবং ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নতি করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকদিন ধরেই আইফোন-১০ আর নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছিল গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে। এখন তা বাস্তব। ৬.১ ইঞ্চির এই ফোনটির আউটলুক তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোবাইল দুনিয়াকে। পাশাপাশি ফোনটি ধরলে এলসিডি ডিসপ্লের তফাৎটা চোখে পরবে না। তারপর আবার মডেলটিতে রয়েছে একচেটিয়া কয়েকটি রঙও। যা নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণী হতে পারে।

তবে ফোনটির সামনের অংশ হুবহু আইফোন ১০-এর মতোই। পেছনের দিকটি আইফোন ৮ কে নকল করেছে অ্যাপল নিজেই।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারতিনোর স্টিভ জবস থিয়েটারে নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন তিনটি লঞ্চ করে অ্যাপল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।