ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সন্তানদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলুন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
সন্তানদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলুন স্মারক ডাক টিকেট, স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠান

ঢাকা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে  জাতি তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনটিতেই অংশ নিতে পারেনি, সেই পশ্চাদপদ জাতি হিসেবে আমরা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে দেখছে। 

প্রযুক্তি মানুষকে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে যাবে। প্রযুক্তির আগামী দিনের বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সন্তানদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।

অন্যথায় এর দায় অভিভাকদেরই নিতে হবে।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ স্কাউট জাতীয় সদর দপ্তরে কাবিং ও রোবারিংয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাক টিকেট, স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ স্কাউট এর সহ-সভাপতি মো. হাবিবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার, দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল এবং বাংলাদেশ স্কাউটের নির্বাহী পরিচালক আরশাদুল মোকাদ্দিস।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, স্কাউটিংয়ের সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্পর্ক আছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা  বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। স্কাউটরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।  

মন্ত্রী আরও বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং শ্রেষ্ঠ  গ্রন্থাগার।  

তিনি নিরাপত্তার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইন্টারনেটের খারাপ দিক বর্জন করে উদ্ভাবনী শক্তি হিসেবে ব্যবহারে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে স্কাউটদের এগিয়ে আসতে হবে।  

বাংলাদেশের স্কাউটরা বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম উল্লেখ করে তিনি বলেন,  সাড়ে নয় বছরে অনেক কিছুতেই বাংলাদেশের রূপান্তর বিস্ময়কর। ৫৫০ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ ৯ বছরে ১৭৫২ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ ব্যবহার ছিল ৭ জিবিপিএস যা বেড়ে ৮০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি থেকে সাড়ে পনেরো কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ৪০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থেকে আমরা ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছি। বিশ্ব ভিক্ষুকের জাতি থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, স্কাউটিংয়ে বাংলাদেশ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নেতৃত্বকারী দেশ। স্কাউট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে বিশ্বে  ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছে। একুশ শতকের বাংলাদেশ নির্মাণে স্কাউটদের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। পরে  মন্ত্রী স্মারক ডাক টিকেট, স্যুভেনির শিট এবং উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।