ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন: কাফিকে বেসিসের সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন: কাফিকে বেসিসের সংবর্ধনা মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে সম্মাননা নিচ্ছেন আব্দুল্লাহ এইচ কাফি

ঢাকা: অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি এবং অ্যাসোসিওর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফিকে সংবর্ধনা দিয়েছে বেসিস।

এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলে আইসিটি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন আব্দুল্লাহ এইচ কাফি।

রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) -এর প্রধান কার্যালয়ে কাফিকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।  


বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিসের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট তৌহিদুল ইসলাম, উপদেষ্টা শেখ আবদুল আজিজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান। বেসিসের ইসি কমিটির সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড হচ্ছে আইসিটি খাতের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।

এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অরগানাইজেশন গত ৮ নভেম্বর জাপানের টোকিওর এনা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র বর্তমান চেয়ারম্যান ডেভিট ওয়াং আবদুল্লাহ এইচ কাফির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন।

অ্যাসোসিও প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৩৫ বছরে এ সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কর পেয়েছেন মাত্র ৩ জন প্রযুক্তিবিদ। তারা হলেন কোরিয়ার ড. ওয়াই টি লি, তাইওয়ান এর রিচার্ড ইন, মালয়েশিয়ার হেরিস টান। আব্দুল্লাহ এইচ কাফি হলেন এ সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কার বিজয়ী চতুর্থ ব্যক্তি। এছাড়াও এবারের  ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ তে চারটি বিভাগে সম্মাননা পেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ দেশের চার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরকে তুলে ধরতে আইটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ এইচ কাফি নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।  

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ট্রেডবডি গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তার অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুণীজনদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। গুণীজনদের সম্মানিত করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃজনশীল কাজে আরও অনুপ্রাণীত হবে।

মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন অ্যাসোসিও থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী নির্দেশনা তথ্যপ্রযুক্তিতে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ রোল মডেল বিবেচিত হচ্ছে। এভাবেই একদিন আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সংবর্ধনার জবাবে আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেন,‘অ্যাসোসিও’র দেয়া সর্বোচ্চ সন্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি নিঃসন্দেহে অতি আনন্দের ও গৌরবের। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সময় উপযোগী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা ও এ বিষয়ে উপযুক্ত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে এমন পুরস্কার আসে। এ পুরস্কার প্রাপ্তি তারই স্বীকৃতি বলেই তিনি উল্লেখ করেন কাফি।

অ্যাসোসিও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অ্যাসোসিও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ প্রদান করে। এছাড়া আইসিটি সেক্টরে অনন্য অবদান রাখায় বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে আজীবন অ্যাসোসিও সম্মাননা প্রদান করে। মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৯৮ সালে এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চিংওয়াক্তা ২০০৪ সালে অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

সংবর্ধনা শেষে  মন্ত্রী  কাফিকে বেসিসের পক্ষ থেকে টোকেন অব অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রদান করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএইচএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।