বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫৩ মিনিটে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করার কথা রয়েছে রোবটযান ইনসাইট ল্যান্ডারের। মঙ্গলের বিষুবের সমতল অঞ্চল এলিসিয়াম প্লানিসিয়ায় অবতরণ করে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা করবে ইনসাইট।
মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে ১৬ ফুট বা ৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খুঁড়তে সক্ষম এই ইনসাইট ল্যান্ডার। এর জন্য রোবটটিতে আছে বিশেষ হাতুড়ি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এটিই হবে মঙ্গলের বুকে আঁচড় কাটা প্রথম মানবসৃষ্ট যন্ত্র।
ইনসাইট ল্যান্ডার নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহের মূল আকর্ষণ হলো নাসার টিকিট বা বোর্ডিং পাস। গত ৫ মে মঙ্গলের উদ্দেশে পৃথিবী ত্যাগের আগে দুই দফায় পৃথিবীবাসীর উদ্দেশে টিকিট উন্মুক্ত করে নাসা। নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি সূত্রমতে, এই সুযোগে নাসার ‘মঙ্গল টিকিট’ বা বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করেন ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০৭ জন। বিপুল সংখ্যক এই পৃথিবীবাসীর সই নিজের সঙ্গে করে মঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে ইনসাইট ল্যান্ডার।
তবে মঙ্গলের বুকে ঠিকঠাকভাবে নামতে হলে ইনসাইটকে পাড়ি দিতে হবে ‘ভয়ানক সাত মিনিটের’ পথ। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৮ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইনসাইট যখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল স্পর্শ করবে তখন তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩০০ মাইল। আর চ্যালেঞ্জটা এখানেই। কেননা তখন সফলভাবে অবতরণের জন্য সাড়ে ছয় মিনিটের মধ্যে এটির গতি কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে ঘণ্টায় ৫ মাইল বেগে।
তখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর মতো ঘন না হওয়ায় গতি কমিয়ে আনাই হলো ৮৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই ইনসাইটের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএইচএস/টিএ