রোববার (২০ অক্টোবর) প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এ তথ্য জানায়।
এর আগে তথ্য বেহাত হওয়া, ভুয়া খবর ঠেকাতে ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ছিল সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস রাজ্যের বাসিন্দাদের আপলোড করা ছবি স্ক্যান করে ফেসিয়্যাল রিকগনিশনের (চেহারা শনাক্তকরণ) জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি ফেসবুক। আর তা কতদিন সংরক্ষণ করবে জানানো হয়নি এ বিষয়ে কোনো তথ্যও। যদি এ মামলায় ফেসবুক হেরে যায় তবে ব্যক্তিপ্রতি এক থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটিকে। সবমিলিয়ে ৭০ লাখ ব্যবহারকারীকে যদি জরিমানা দিতে হয় তবে তাদের ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গচ্ছা দিতে হবে।
মামলা এবং ফেসিয়্যাল রিকগনিশনের বিষয়ে ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানায়, ফেসিয়্যাল রিকগনিশন সফটওয়্যারের বিষয়ে সবসময়ই ব্যবহারকারীদের বলে আসছিল কর্তৃপক্ষ। কে এটা ব্যবহার করবে আর কে করবে না তা কর্তৃপক্ষের হাতে নেই। তবে বর্তমানে যখন ইস্যুটি সামনে চলে এসেছে তাই অপশনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। একইসঙ্গে আইনি লড়াইও চালিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে ব্যাবহারকারীদের গোপনীয়তার বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সঙ্গে রেকর্ড পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সমঝোতা করেছিল ফেসবুক। ২০১১ সাল থেকে চেহারা শনাক্ত করতে ফেসবুক তাদের ম্যাপিং শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এইচএডি/