ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘৫জির জন্য তরঙ্গ রেডি, নিলামে প্রস্তুত আছি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
‘৫জির জন্য তরঙ্গ রেডি, নিলামে প্রস্তুত আছি’ বক্তব্য রাখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: দেশের শতভাগ এলাকায় চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি কভারেজের আওতায় আনার তাগাদা দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ৫জির জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) রেডি আছে। আমরা স্পেকট্রাম অকশন (নিলাম) করার জন্য প্রস্তুত আছি।

 
 
শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সিটিও ফোরাম ও এমটব আয়োজিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
 
দেশব্যাপী ফোরজির সম্প্রসারণের তাগিদ দিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমাদের বোধ হয় এখন জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে ফোরজির সম্প্রসারণ পুরো দেশে করতে পারি কিনা। অপারেটরদের পক্ষ থেকে ৮০ শতাংশ বলা হয়েছে, আমি কিন্তু শতভাগ চাই।
 
৫জি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিল্প কারখানার উৎপাদন অনেকাংশে নির্ভর করবে এ ৫জির ওপর। বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের কাছে বিনিয়োগের জন্য আসে তারা বলে ৫জি কবে আসবে? কারণ তাদের শিল্প কারখানা ৫জির ওপর নির্ভর করবে।
 
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা এ সম্পর্কে (৫জি) অনেক আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট করে বলতে পারি- আমাদের স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) রেডি আছে।  
 
‘কিন্তু আমাদের জনগণের কাছে যে কানেকটিভিটির প্রশ্ন আছে, এটার বেইজ লাইন হিসেবে দেখতে চাই ফোরজিকে। আমার টুজি, থ্রিজি থাকবে কি থাকবে না সেটা আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের এ টেকনোলজি রেখে দেবেন কি দেবেন না সেটাও আপনারা দেখবেন। ’
 
স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বলা হয় ৩০-৩৫ শতাংশ পেনিট্রেশন স্মার্টফোনের, সেহেতু টুজি ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে পারবো এ মুহূর্তেই, সে অবস্থাটা আমার কাছে মনে হয় না। ক্রমান্বয়ে টুজি বিদায় নেবে। কিন্তু সেই ট্রান্সফরমেশনটা আমাদের করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা আশার আলো দেখছি, স্থানীয়ভাবে সেট উৎপাদন হচ্ছে। অনেক কম দামে যাতে ফোরজি সেট দেওয়া যায় সেটার ব্যবস্থা আমরা করবো।
 
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১১টি এবং এক-দুই মাসের ভেতরে ১৪টি প্রতিষ্ঠান দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চলে যাবে। এর ফলে মোবাইল ফোনের পেনিট্রেশন ওভারকাম করে আসবো।
 
‘অন্যদিকে ৫জি কেবল দিলেই হবে না, ৫জি ব্যবহার করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহারকারীর বাইরে ইন্ডিভিজ্যুয়াল ব্যবহারকারীদেরও ৫জি সেট লাগবে। স্যামসাং বাংলাদেশে ৫জি সেট বানায়। ’
 
মন্ত্রী বলেন, ৫জির যুগে মিলিয়ন অব ডিভাইসের সংযুক্ত করতে পারবো, বাসার ফ্রিজ, টিভি, দরজা সবকিছুই। সুতরাং টেলকো হচ্ছে হাইওয়ে যার ওপর নির্ভর করে পরের সভ্যতা বিকশিত হবে। এজন্য উদ্ভাবনী দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
 
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এক সময় বলা হতো ইন্টারনেট বড় লোকের জন্য, ব্যাংকের জন্য… কিন্তু এখন দেখছি ৫জিভিত্তিক যারা বিনিয়োগের জন্য এসেছে সেগুলোর বেশির ভাগই কৃষিভিত্তিক। তারা বলছে আইওটি ডিভাইস পুকুরে, জমিতে বসাবো এবং ৫জির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে রূপান্তর করবে। এ রূপান্তরের জন্য আমাদের তরুণদেরও আগ্রহ রয়েছে। তবে সেটি আমরা কৃষকের গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে রাখতে পারি কিনা সেটি ভাবতে হবে।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনার প্রণেতাদের একজন মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা সারা পৃথিবীতে প্রথম ছিল, কোনো একটি দেশ তার পরিচিতি ডিজিটাল দেশ হিসেবে লাভ করতে যাচ্ছে।
 
আলোচনায় টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।