ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন শুরু

ঢাকা: শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০। অনলাইনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার স্বাগত বক্তব্য দেন।

এই আয়োজন সম্পর্কে তপন কান্তি সরকার জানান, দেশের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তাদের সংগঠন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ক্লাউড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করে। গত ১৫ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর উদ্বোধন করেন। এই ইনোভেশন সেন্টারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের তরুণদের ক্লাউড প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা। যাতে করে তারা বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোটোটাইপ তৈরি করতে পারে। এসব প্রোটোটাইপ পরবর্তী সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিজয়ের মাসে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এই হ্যাকাথন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্যাম সুন্দর সিকদার সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের এমন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ জনগোষ্ঠী বর্তমানে তরুণ সমাহের প্রতিনিধিত্ব করছে, এটি একটি চমৎকার ব্যাপার। ডিজিটাল বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা তরুণদের হাত ধরেই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের শুভকামনা জানিয়ে তিনি হ্যাকাথনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নতুনদের জন্য পুরনোদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, এটাই রীতি। আমরা চাই আমাদের অনুজরা যোগ্যতা ও দক্ষতায় আমাদের ছাড়িয়ে যাক, সারা পৃথিবীর মাঝে সেরা হয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনুক।

হ্যাকাথনের প্রধান বিচারক অ্যামাজন ইউএসএ এর সলিউশন আর্কিটেক্ট মাহাদি-উজ-জামান তরুণদের প্রতি তার আস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং আগ্রগামী প্রযুক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা একমাত্র তরুণদের পক্ষেই সম্ভব। তাই তাদের নিত্য-নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে হবে এবং তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে জানতে হবে।

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০ এর কনভেনার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন তার সমাপনী বক্তব্যে জানান ৩টি নির্ধারিত চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে মোট ১২টি দল এবারের হ্যাকাথনে অংশ নিচ্ছে। চ্যালেঞ্জ ৩টি হচ্ছে যথাক্রমে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা চ্যাটবট তৈরি, ম্যানুয়াল প্রসেসের অটোমেশনকল্পে সমাধান তৈরি এবং সার্ভারলেস ইমারজিং ও ইনোভেটিভ সমাধান তৈরি।

অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল এই ৩টি চ্যালেঞ্জের যেকোন একটি নিয়ে কাজ করবে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করবে। হ্যাকাথন চলাকালে প্রতিটি দল একজন করে মেন্টরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কাজ করবে। হ্যাকাথনের শেষ দিনে সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর সহযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দল সমূহের মধ্য থেকে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে এবং তাদের পুরস্কৃত করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার ওয়াইইএফ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও গ্লোবাল সিইও কাজী হাসান রবিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আসিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।