ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশেই ফোরজি-ফাইভজি হ্যান্ডসেট উৎপাদন সম্ভব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
দেশেই ফোরজি-ফাইভজি হ্যান্ডসেট উৎপাদন সম্ভব

ঢাকা: দেশেই চাহিদা মোতাবেক ফোরজি ও ফাইভজি হ্যান্ডসেট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা। আর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ ফিচার এবং ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করতে উৎপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনকক্ষে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগ আয়োজিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসির চেয়ার‌ম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিটিআরসি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সভায় ই-বর্জ্য থেকে জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকি এড়াতে উৎপাদক, বিপণন, ব্যবহারকারী ও নীতিনির্ধারদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ার‌ম্যান। তিনি বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরিকল্পনা না নিলে আগামীতে তা জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ঝুঁকি তৈরি করবে।

মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, দেশেই চাহিদা মোতাবেক ফোরজি ও ফাইভজি হ্যান্ডসেট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। স্মার্টফোনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দরকার দেশব্যাপী মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক।

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীর সমন্বয়ে উদ্যোগ নিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদনকারীদের সাফল্যের প্রশংসা করে আইনগত বাধা থাকলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।

স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বেশ কয়েকটি মোবাইল উৎপাদন কারখানা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তাদের গুণগতমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামীতে ৫০ শতাংশ ফিচার এবং ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করতে উৎপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে।

কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. মেসবাহুজ্জামান শুধু আমদানি বা সংযোজন শিল্পে মনোযোগী না হয়ে দেশে সেমিকন্ডাক্টরসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তির ডিভাইস তৈরি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের কোন সমস্যা থাকলে আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকে সমাধানের আশ্বাস দেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য পাঠক্রমে ইলেক্ট্রো মেকানিকস্, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, ক্লাউড, আইওটির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার মনোভাব ব্যক্ত করেন প্রতিনিধিরা। এছাড়া বিটিআরসি থেকে সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে দ্রুততা, একনিষ্ঠতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।