ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশিদের ইমো ব্যবহারের রেকর্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
বাংলাদেশিদের ইমো ব্যবহারের রেকর্ড 

ঢাকা: ২০২০ সালে ইমো ব্যবহারের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। এবছর বাংলাদেশি ইমো ব্যবহারকারীরা ৯৬৮০ কোটি মেসেজ এবং ২৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল করেছেন।

যা গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৮.২ শতাংশ এবং ৭.৮ শতাংশ বেশি।  

রোববার (১০ জানুয়ারি) পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সাল বছর জুড়ে বাংলাদেশি ইমো ব্যবহারকারীরা প্রায় ৯৬০০ কোটি মেসেজ এবং ২৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল করেছে, যেখানে ২০১৯ সালের তুলনায় ৮.২ শতাংশ মেসেজে এবং ৭.৮ শতাংশ অডিও ও ভিডিও কলে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ইমো’র মাধ্যমে প্রত্যেক বাংলাদেশি গড়ে প্রায় ৭৫৩ বার মেসেজ বা কল করেছে।

তারমধ্যে মোট মেসেজের ৩১ শতাংশ অর্থাৎ ৩০০০ কোটি মেসেজ এবং মোট কলের ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০০ কোটি কল ছিল, যা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেশের বাইরে থাকা বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের যোগাযোগের বিষয়টি নির্দেশ করে। বাংলাদেশি ইমো ব্যবহারকারীদের আন্তর্জাতিক কল সর্বোচ্চ যেসব দেশে গিয়েছে তার মধ্যে ৫টি দেশ হলো সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার।

গত বছরের মে মাসে ইমো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৫টি বিশেষ হটলাইন নম্বর বাংলাদেশের তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ করেছিল যাতে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা ঐ নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করতে পারে। বাংলাদেশিদের মাঝে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় ২০২০ সালে বেশি ছিল। এবছরে প্রায় ১৩ কোটি গ্রুপ কল এবং ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা ইমো’র ইন্টারেকশন ফিচার প্লে টুগেদারের মাধ্যমে ১২.৮ কোটি ভার্চুয়াল পার্টি রুম তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য ২০২০ সালে ইমো ভিডিও ও অডিও কলে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস হিউ বলেন, “গত বছরের কঠিন সময়ে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশে এবং দেশের বাইরের প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় মুহুর্তগুলো ইমো’তে ভাগাভাগি করে নেওয়ায় আমরা গর্ববোধ করছি। ২০২১ সালে আমরা নতুন কিছু প্রত্যাশা করি এবং ইমো বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ প্রোডাক্ট ও সার্ভিস অব্যাহত রাখবে।

ইমো একটি বিশ্বব্যাপী ইন্সট্যান্ট যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষ অডিও কল, ভিডিও কল, গেমস বা মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
আরকেআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।