পৃথিবীতে যেকোন সময়ই আঘাত হানতে যাচ্ছে জিওম্যাগনেটিক বা ভূচৌম্বকীয় সৌরঝড়। সূর্য থেকে কয়েক মিলিয়ন টন আয়নযুক্ত গ্যাস নির্গত হওয়ার পর এমন ধারণা করা হয়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, সে ঝড় প্রভাব ফেলতে পারে পৃথিবীর জিপিএস সংকেত, স্যাটেলাইট-নির্ভর যোগাযোগ এবং বিদ্যুতের গ্রিডে। সে সঙ্গে জিওম্যাগনেটিক অ্যাকটিভিটির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হাডসন ভ্যালিতে অরোরা (মেরুপ্রভা) দৃশ্যমান হতে পারে।
নাসা আরও জানায়, সূর্য থেকে রশ্নি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। নাসা নিশ্চিত করেছে, এই রশ্নি এখন সূর্যের কেন্দ্রে আছে আর পৃথিবীর দিকেই তাক করে আছে। যেকোন সময় এই ঝড় পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডে আছড়ে পড়লে ভেঙ্গে পড়তে পারে রেডিও সিগনাল। কিন্তু সূর্যের ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করতে পারবে না। মানুষেরও কোন ক্ষতি হবে না।
এ ঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়বে জিপিস ব্যবস্থা। সূর্যের তেজ পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে দেখা যাবে অরোরা হিসেবে। উত্তর আর দক্ষিণ মেরুতে অরোরা তৈরি করবে এ সৌরঝড়। এ ঘটনায় কেঁপে উঠবে পৃথিবীর চারপাশে থাকা চৌম্বক ক্ষেত্র। দুই মেরুতে আরও ঘনঘন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখা যাবে মেরুজ্যোতি।
এ ঝড়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ মেরু, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও উত্তর মেরুর যাবতীয় রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্বের একাংশের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাও। ব্যাহত হতে পারে জিপিএস-মোবাইল-বিদ্যুৎ পরিষেবাও।
সূর্য থেকে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় বিকিরণকে সোলার ফ্লেয়ার বা সৌরশিখা বলা হয়। বৃহস্পতিবার ‘এক্স১’ শ্রেণির এমন শিখা নির্গত হয়েছে বলে ধরা পড়ে নাসার সোলার ডাইনামিকস অবজারভেটরিতে। সবচেয়ে তীব্র সৌরশিখার ক্ষেত্রে ‘এক্স’ শ্রেণির উল্লেখ করে থাকে নাসা। সঙ্গে থাকা নম্বরটি বোঝায় তীব্রতা। যেমন এক্স১-এর চেয়ে এক্স২ ও এক্স৩ যথাক্রমে দ্বিগুণ ও তিন গুণ শক্তির।
ভূচৌম্বকীয় ঝড় কী
সূর্য এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে তীব্র সৌরশক্তির বিনিময় বলা চলে, তবে সেটা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে বড় বাধা তৈরি করে। এতে বেতার তরঙ্গের সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এনএইচআর