ভ্রমণের সময় কখনও কি মনে হয়েছে কেউ লুকিয়ে আপনাকে দেখছেন? হোটেল হোক বা ড্রেসিং রুম, লুকোনো ক্যামেরা রাখার এই যুগে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা অমূলক কিছু নয়। প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে কীভাবে অসাধু কাজ করা যায় তারই নিদর্শন গোপন ক্যামেরা।
গোপন ক্যামেরা যতই ছোট হোক তা লুকানো সহজ নয়। নতুন ভাড়া বাড়ি বা হোটেল কক্ষে ঢুকতেই পরীক্ষা করে নিন কিছু বিশেষ আসবাব। বিশেষ করে খেয়াল রাখুন কোনো আসবাব বা ঘর সাজানোর সামগ্রী অস্বাভাবিক স্থানে রাখা আছে কি-না। আসবাব কিংবা দরজার হাতল, অদ্ভুতভাবে লাগানো ছবির ফ্রেম, ল্যাম্পশেড, দেওয়াল ঘড়ি ইত্যাদির মধ্যে লুকোনো থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা।
ক্যামেরা লুকোনোর আরেকটি প্রচলিত স্থান হলো টয়লেট। অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে রাখা শাওয়ারের মুখ, বিশেষ ধরনের আসবাব কিংবা আয়নার পেছনে থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা। আয়না আসল না দ্বিমুখী তা বোঝার একটি সহজ উপায় আছে। আয়নার ওপর আঙুল ঠেকিয়ে দেখুন। যদি আঙ্গুলের মাথা ও আয়নার প্রতিবিম্বের মধ্যে কোনো ফাঁক না থাকে তা হলে বুঝতে হবে আয়না নকল।
মনে রাখবেন ক্যামেরার কাজ করার জন্য মূলত তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। দৃশ্যমানতা, বিদ্যুতের উৎস ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক। সে কারণে সুইচ বোর্ডের কাছাকাছি স্থান, বাল্ব লাগানোর ফাঁকা জায়গা, টেলিভিশন বা ডিভিডি যন্ত্র—এ সবই গোপন ক্যামেরা রাখার প্রচলিত স্থান।
ক্যামেরা খুঁজে পেতে ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারে প্রযুক্তিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার একটি সহজ উপায় হলো অন্ধকারে উজ্জ্বল আলো ফেলা। ক্যামেরা যতই ক্ষুদ্র হোক, তাতে লেন্স থাকবেই। আর উজ্জ্বল আলো লেন্সে পড়লে তার থেকে নীল প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। খালি চোখে ধরা না পড়লে ব্যবহার করতে পারেন মোবাইল ফ্ল্যাশের আলো।
ইদানিং গোপন ক্যামেরা খোঁজার অ্যাপও এসে গেছে। ক্যামেরার নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে এই ধরনের অ্যাপ। আবার অনেক সময়, ক্যামেরার অপটিক্যাল তারের জন্য ফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১
এনএসআর